আলু, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ভারতের উপর কতটা নির্ভরশীল বাংলাদেশ? দেখুন হিসেব

Published on:

bangladesh

প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: সময় পেড়িয়ে গেলেও উদ্বেগ কমছে না বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের। নিজেদের সুরক্ষার্থে ওপারের হিন্দুরা কিছুতেই নিজেদের দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপরেও বিশেষ ভরসা রাখতে পারছেন না। কোনো রকমে বাংলাদেশ ছেড়ে যাঁরা সীমান্তের এ পারে আসছেন, অনেকেই জানাচ্ছেন, সে দেশে খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাদ যাচ্ছে না সেখানকার সংখ্যালঘু মহিলাদের ওপর অত্যাচার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে, মহিলারা যেন বাড়ি থেকে না বেরোন। এই আবহে এবার চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে ভারত সরকারও। বিভিন্ন মন্ত্রীদের মুখে শোনা যাচ্ছে ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

শুভেন্দুর হুমকিতে এবার নির্ভরশীলতার প্রশ্ন উঠছে!

এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অকথ্য অত্যাচারে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পেট্রাপোল সীমান্তে দাঁড়িয়ে হুমকি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি না হলে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও আলু রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর এই মন্তব্য সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই তা নিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী আর বাংলাদেশি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ, ভারতের আলু, পেঁয়াজ, চালের জন্য কতটা নির্ভরশীল?

আলু ও পেঁয়াজে কতটা নির্ভরশীল বাংলাদেশ?

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ। সর্বশেষ অর্থ বছরে ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। ২০২৩ সালের আগে বাংলাদেশ কখনও আলু আমদানি করেনি। বরং বাংলাদেশ আলু রফতানি করত। তবে ঘরোয়া চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আলু জোগান দিতে পারছিল না তাই বাধ্য হয়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারত থেকে ১৭ লাখ ডলারের আলু আমদানি করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে বাংলাদেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৭-২৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল ৩৮ লাখ মেট্রিক টন। তবে বাড়তি যোগানের জন্য ভারত থেকে প্রায় ২০ কোটি ডলারের পেঁয়াজ আমদানি করেছে বাংলাদেশ।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

চালের ক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারত থেকে ১৫ কোটি ডলারের চাল আমদানি করে বাংলাদেশ। এর আগের বছরে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১ কোটি ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশের মোট আমদানির ১৮ শতাংশই আসে ভারত থেকে। বস্ত্রশিল্পের জন্য তুলোর সিংহভাগ যায় ভারত থেকে। ভারত থেকে রফতানি হয় চাল, গম, পেঁয়াজ, মশলা। পেট্রোপণ্য থেকে যন্ত্রাংশ, শিল্পের কাঁচামাল যায় ভারত থেকেই। তাই এককথায় বলা যায় বাংলাদেশ, ভারতের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group