বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে মানুষের উত্তেজনার শেষ নেই। বর্তমান সময়ে এই ট্রেনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে। ২০১৯ সালে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম এবং সেমি হাইস্পিড ট্রেন রেল ট্র্যাকে নামায় রেল। এদকে এই ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছে রেল। সেইসঙ্গে এই ট্রেনে উঠতে মানুষের প্রবণতা আরও বাড়ছে। তবে এই ট্রেন চালিয়ে রেলের কত আয় হচ্ছে সেটার নাকি কোনও হিসেবই রাখে না রেল! কী শুনে চমকে গেলেন তো? তবে এটাই সত্যি।
২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লি থেকে বারাণসী পর্যন্ত প্রথম এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালু করে ভারতীয় রেল। তবে সময় যত এগিয়েছে ততই এই ট্রেনের চাহিদা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। ফলে সাধারণ রেল যাত্রীদের কথা ভাবনাচিন্তা করে বর্তমানে দেশের ১০০ রুটে ২৪ রাজ্যের ২৮৪ গন্তব্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালাচ্ছে। আগামী দিনে এই ট্রেনের সংখ্যা আর বাড়বে বলে সাফ সাফ জানিয়েছে রেল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এই বন্দে ভারত ট্রেন নিয়ে রেল এমন এক দাবি করেছে যা শুনে সকলেই চমকে গেছে।
কত আয় হল বন্দে ভারতের
বন্দে ভারত ট্রেনের আয়ের নাকি আলাদা কোনও রেকর্ডই মন্ত্রকের কাছে নেই। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর গৌড় তথ্যের অধিকার আইনে বা RTI-এর কাছে গত দু’বছরে বন্দে ভারত ট্রেন থেকে কত টাকা পেয়েছে এবং সেগুলি চালিয়ে কোনও লাভ বা ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন। এদিকে রেলের তরফে ওই ব্যক্তিকে জবাব দেওয়া হলেও মন্ত্রকের জবাবে তিনি মোটেও সন্তুষ্ট হননি। আর না হওয়ারই কথা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্য চাওয়া রাজস্ব নথিতে সাড়া দিয়েছে রেল মন্ত্রক। মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিটি ট্রেনের আলাদা রেকর্ড রাখা হয় না। পুরো ট্রেনের জন্য পৃথক রাজস্ব রেকর্ড বজায় রাখা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ সোমবার থেকেই গরমের ছুটি, কতদিন বন্ধ স্কুল-কলেজ? ঘোষণা শিক্ষা দফতরের
বর্তমানে দেশে মোট ১০২টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে। এই হাই-স্পিড ট্রেনটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। আজ এটি ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সহ ২৮৪টি জেলার মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে।