প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের পরিবহণ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে বেশ কিছু উচ্চ গতির রেল প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি নিয়ে শুরু থেকেই চর্চার ঝড় উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। তবে শুধুমাত্র এই একটি রুট নয়, বারাণসী-হাওড়া রুটেও বুলেট ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বারাণসী এবং হাওড়ার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি এবং আরাম দুটোই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
বারাণসী এবং হাওড়া – এই দুটি শহরই ভারতের প্রাচীনতম এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। বারাণসী হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, হাওড়া কলকাতার সাথে সংযুক্ত এবং ভারতের অন্যতম বৃহৎ রেলওয়ে জংশন। এই দুটি শহরের মধ্যে হাইস্পিড বুলেট ট্রেন চালু হলে তা এই দুই শহরের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় বুলেট ট্রেনের প্রযুক্তি এবং গতি
জাপানের শিনকানসেন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতে বুলেট ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাধারণত, এই হাইস্পিড বুলেট ট্রেনগুলি ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার বা তারও বেশি গতিতে ছুটতে পারে। যেখানে আমাদের দেশের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উচ্চগতি ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। জানা গেছে, হাওড়া-বারাণসী রুটটি ৭০০ কিমিরও বেশি হবে। বুলেট ট্রেনে হাওড়া থেকে বারাণসী মাত্র ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে যাওয়া যাবে।
৪ রাজ্যের ১৮ জেলার উপর দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন
রেল সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া-বারাণসী রুটের বুলেট ট্রেনটি ৪ টি রাজ্যের ১৮ টি জেলার উপর দিয়ে ছুটবে। এর মধ্যে বিহারের পাটনা জেলায় ৬০.৯০ কিলোমিটার এলিভেটেড ট্র্যাক বানানো হবে। এই হাইস্পিড রেল করিডোর ৪ টি রাজ্যকে জুড়ে দেবে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকার উপর দিয়ে ছুটবে এই রুটের বুলেট ট্রেন। তবে এই রুট তৈরির জন্য পাটনা জেলায় ১৩৫ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এইসব সম্পন্ন হলেই আগামী ৫ বছরের মধ্যে বুলেট ট্রেন ছুটবে ভারতের এই বিশেষ রুটে।