বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: যাত্রী সুবিধা ও বায়ু দূষণ রোধ দুইই প্রাথমিক লক্ষ্য, আর সেই কারণেই ভারতের রাজপথে শুরু হচ্ছে এক বিশেষ বাস পরিষেবা। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চিরাচরিত জ্বালানি তেল চালিত বাস এবং ব্যাটারি চালিত বসের পাশাপাশি এবার এক ভিন্ন জ্বালানির (Hydrogen Bus) বাস চালানোর পরিকল্পনা নিল সরকার। সূত্রের খবর, মূলত পরিবেশ রক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই চালু করা হচ্ছে এই পরিষেবা।
ভারতের রাজপথে ছুটবে হাইড্রোজেন বাস
দেশের মাটিতে বহু আগে থেকেই ইলেকট্রিক বাসের দাপাদাপি লক্ষ্য করা যায়। তবে এবার সেসব ব্যাটারি চালিত বাসের পাশাপাশি এক নতুন বাস পরিষেবা চালু করার পথে হাঁটতে চলেছে সরকার। সূত্রের খবর, মূলত জ্বালানির দিক থেকেই চমক দেবে ওই বাস। হ্যাঁ, আসলে পরিবেশ রক্ষার তাগিদে, এবার হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত বাস পরিষেবা শুরু করছে কেন্দ্র।
কোথায় চলবে এই বাস?
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাটারি চালিত বাসের পাশাপাশি এবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের রাস্তায় ছুটবে হাইড্রোজেন বাস। হ্যাঁ, আপাতত যা খবর, লাদাখের বাসিন্দাদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতেই এমন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা, লাদাখের লেহ-তে এই বিশেষ পরিষেবার পরীক্ষামূলক কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সেই ট্রায়াল পর্ব শেষ হলেই একেবারে পাকাপাকিভাবে লাদাখের রাজপথে নেমে পড়বে হাইড্রোজেন বাস। যা সাধারণ জনগণকে তাঁদের গন্তব্য দেখাবে।
বলে রাখি, ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন বাস পেয়েছে লাদাখ। ইতিমধ্যেই সেই বাসগুলি লাদাখ প্রশাসনকে হস্তান্তর করেছে ওই সংস্থা। সূত্র বলছে, লাদাখের মাটিতে সফলভাবে এই বাস পরিষেবা চালু হওয়ার পর আগামী দিনে ধীরে ধীরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চালু হবে হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত বাস পরিষেবা।
অবশ্যই পড়ুন: ‘আজ রিচার্জ করলে ৩৩৬ দিন চালু থাকবে SIM, দারুণ অফার BSNL-র
হাইড্রোজেন বাসের বিশেষত্ব
জানিয়ে রাখি, চিরাচরিত জ্বালানি চালিত বাসের থেকে অনেকটাই আলাদা হাইড্রোজেন চালিত বাস। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই বাসের প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে হাইড্রোজেন। ফলত, বোঝাই যাচ্ছে হাইড্রোজেন জ্বালানি সেলের মাধ্যমেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটবে এই বাস। রিপোর্ট বলছে, এই বাস পরিষেবা চালু হয়ে গেলে একদিকে যেমন যাত্রীরা এক স্থান থেকে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন, ঠিক তেমনই এই বাস পরিষেবার মধ্য দিয়ে 350 মেট্রিক টন কার্বন নির্গমন বন্ধ হবে।
বদলে বাতাসে জুড়বে 350 মেট্রিক টন বিশুদ্ধ অক্সিজেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই বাস পরিষেবা চালানো 13 হাজার গাছ রোপন করার সমান, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। শুধু তাই নয়, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল চার্জ হওয়ার পর এটি 230 কিলোমিটারের টানা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিটি বাসে যাত্রীদের বসার জন্য 32টি সিট রয়েছে রয়েছে। ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের দাবি, পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত অঞ্চলগুলিতে চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে হাইড্রোজেন চালিত বাসগুলিকে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |