শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ফের একবার বিরাট লাফ মারল ভারত। এবার ভারতের তরফে এমন একটি কাজ করা হলো যার পরে চীন থেকে শুরু করে পাকিস্তান সহ ভারত বিরোধী দেশগুলির রাতের ঘুম উড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে কয়েকদিন আগেই DRDO তাদের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে। ওড়িশা উপকূলের ডঃ এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর) থেকে এই পরীক্ষা চালায় DRDO। সবথেকে বড় কথা, এই প্রথম রাতে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল ডিআরডিও। শুধু তাই নয় এর শব্দ যে কারোর কানা ঝালাপালা করে দিতে পারে।
ভারতের হাতে শব্দের থেকে ৬ গুণ গতির হাইপারসনিক মিসাইল
আসলে এবার ভারতের হাতে শব্দের থেকে ৬ গুণ গতির হাইপারসনিক মিসাইল এসে পৌঁছেছে। সবথেকে বড় কথা, এটি ভারতেই তৈরী করা হয়েছে। ডিআরডিও সূত্রে খবর, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ১,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে বিভিন্ন পেলোড বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পরীক্ষার সময়, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১,৪০০ কিলোমিটার মাইলেজ অতিক্রম করেছিল। সেইসঙ্গে লক্ষ্য বস্তুতে নির্ভুল আঘাত হেনেছে। এদিকে ভারতের এ হেন পরীক্ষার জেরে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে বহু দেশের। বিশেষ করে চিন, পাকিস্তানের বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী
হায়দরাবাদের ডঃ এপিজে আবদুল কালাম মিসাইল কমপ্লেক্স এবং অন্যান্য ডিআরডিও ইনস্টিটিউট এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে। দেশের নিরাপত্তা সক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে দাবি।
মিসাইলটির বিশেষত্ব কী?
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিক যুদ্ধ প্রযুক্তির একটি অনন্য উদাহরণ। সবথেকে বড় কথা, এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আলাদা করে তোলে যেমন এর হাইপারসনিক গতি। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দ, যা সবার থেকে একে আলাদা করে। এই মিসাইলের গতি ম্যাচ ৫। অর্থাত্ শব্দের থেকে ৫ গুণ বেশি। এটির গতি ম্যাচ ২৫ পর্যন্ত হতে পারে। এটির সর্বোচ্চ গতি ৬,২০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে, যা শত্রুর রাডার এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। দূর থেকে শত্রু ঘাঁটি লক্ষ্য করার জন্য উপযুক্ত।