মাত্র ৩৪০ টাকায় হবে কাজ, বারবার দিতে হবে না টোল, জানুন কীভাবে নেবেন সুবিধা

Published on:

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: টোল প্লাজার (Toll Plaza) কাছাকাছি বাসস্থান হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই টোল পেরানোর সময় টান পড়ে পকেটে। প্রতিবার টোল অতিক্রম করার সময়ে টোল পাস নিতে নিতে মাসের শেষে খরচের অঙ্কটা বড় হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবার থেকে সেই চিন্তার দিন শেষ।

এখন চাইলেই একজন চালক মাত্র 340 টাকায় গোটা মাসে কোনও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই টোল পারাপার করতে পারবেন। কিন্তু কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কোনও রকম অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই পারাপার করা যাবে টোল প্লাজা।

20 কিমির মধ্যে কোনও চার্জ নেই

ভারত সরকারের অধীনে গত বছর জিতনি দূর, উতনা টোল নীতি বাস্তবায়নের পর গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম বা GNSS দ্বারা ট্র্যাক করা যায় এমন গাড়িগুলির ক্ষেত্রে 20 কিলোমিটারের মধ্যে কোনও রকম টোল ট্যাক্স লাগে না। সে ক্ষেত্রে, এখন থেকে চাইলেই 20 কিলোমিটারের মধ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিখরচায় ঘুরতে পারেন আপনি।

মূলত 2008 সালে মহাসড়ক ফি বিধি সংশোধনের মধ্যে দিয়ে এই নতুন নিয়ম চালু করেছিল ভারত সরকার। সেই সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী, GNSS ভিত্তিক যানবাহনের ক্ষেত্রে 20 কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ সম্পূর্ণ ফ্রি। তবে সরকার দ্বারা নির্ধারিত দূরত্ব অতিক্রম করলে টোল দিতে হবে। জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রের এই নয়া নিয়ম পারমিটযুক্ত গাড়ির পাশাপাশি প্রাইভেট ফোর-হুইলারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

কারা 340 টাকার টোল পাস পাবেন?

ভারত সরকারের 340 টাকার টোল পাসের সুবিধাটি শুধুমাত্র সেই সব চালকদের জন্যই যারা নির্দিষ্ট টোল প্লাজার 20 কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করেন। অর্থাৎ, বাড়ির কাছের টোল প্লাজার ক্ষেত্রে আপনি 340 টাকার মাসিক টোল রিচার্জ প্ল্যানটি কিনতে পারবেন।

কীভাবে এই 340 টাকার পাস পাওয়া যাবে?

নির্দিষ্ট টোল প্লাজার 20 কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী ব্যক্তি চাইলেই মাসে একবার টোল প্লাজা থেকে 340 টাকার পাসটি কেটে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে পাসের নির্দিষ্ট মেয়াদ অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে চালক যতবারই টোল প্লাজা অতিক্রম করুক না কেন সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনও চার্জ লাগবে না।

অবশ্যই পড়ুন: ভারতের এক সিদ্ধান্তেই ৬০০০০০০০০০০ টাকার ক্ষতি বাংলাদেশের! ধাক্কা খেল চিনও!

বেশ কিছু শর্ত রয়েছে

340 টাকার টোল পাসের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রেখেছে সরকার। সেই সূত্রেই বলি, প্রথমত যাঁর নামে গাড়ি রেজিস্টার্ড আছে, শুধুমাত্র সেই একজন ব্যক্তিই এই টোল পাসটি ব্যবহার করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র প্রাইভেট গাড়ির চালকরা এই টোল পাসের সুবিধা পাবেন। তাছাড়াও GNSS যুক্ত গাড়িগুলিতে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

তৃতীয়ত, এই সুবিধা পেতে হলে FAStag সিস্টেম থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও এই সুবিধাটি পেতে গেলে 20 কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী চালককে আবাসিক পত্র দেখাতে হবে, যা দিয়ে প্রমাণ করা যায় তিনি আসলেই টোল প্লাজার 20 কিলোমিটারের মধ্যে থাকনে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥