সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: যৌতুকের নামে অত্যাচার কোনও নতুন ঘটনা নয়। তবে কানপুরে (Kanpur) এবার ঘটে গেল এক ভয়াবহ কাণ্ড, যা শোনার পর আপনার গায়ে কাঁটা দেবে। পণের টাকা শোধ করতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুত্রবধূকে আটকে রেখেই তাঁর ঘরের ভেতরে সাপ ছেড়ে দেয়। আর গভীর রাতে সাপের ছোবলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কেউ বাঁচাতেও আসেনি।
ঘটনাটি কী?
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ওই তরুণীর নাম রেসমা। অভিযোগ উঠছে, তাঁকে ইচ্ছে করেই ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকি বাইরে থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসাহাসি করছিল আর ভেতর দিয়ে একটি বিষাক্ত সাপ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। রাতের অন্ধকারে সেই সাপ রেসমার পায়ে ছোবল মারে। যন্ত্রণায় ছটফট করে দরজা পেটালেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। অবশেষে কোনওমতে ফোনে সে তাঁর বোন রিজওয়ানাকে খবর দেন। রিজওয়ানা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করান।
এরপর রিজওয়ানা জানিয়েছে, 2021 সালের 19 মার্চ শাহনওয়াজ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে রেসমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে যৌতুকের দাবি করে। প্রথমবার রেসমার পরিবার দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছিল। তবে তাতেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শান্তি হয়নি। আরও ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে তারা। আর সেই দাবি পূরণ করতে না পারাতেই এরকম নির্যাতন।
আরও পড়ুনঃ ঘনঘন জ্ঞান হারাচ্ছিলেন, ‘মস্তিষ্কখেকো’ অ্যামিবার থাবা এবার হুগলির শ্রীরামপুরে
এই ঘটনার পর রিজওয়ানা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রেসমার স্বামী শাহনওয়াজ, শ্বশুর-শাশুড়ি, বড় ভাইয়ের বোন সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় চলছে মামলা, যার মধ্যে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ রয়েছে। আর পুলিশ অভিযুক্তদের খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।