বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: হাসিনা জামানা শেষ হতেই বাংলাদেশের সাথে ভারতীয় সম্পর্কে (India-Bangladesh Relation) ক্রমশ ফাটল ধরেছে। ক্ষমতা শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের হাতে যেতেই ওপারে শুরু হয়েছে নানান ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। ফলত স্বাভাবিকভাবেই, এক বেহায়া পড়শির মতোই বাংলাদেশকে প্রত্যেক অগ্রহণযোগ্য আচরনের প্রত্যুত্তর দিচ্ছে ভারত।
যার প্রমাণ সম্প্রতি বাংলাদেশি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধকরণ। তবে শোনা যাচ্ছে, এবার ওপার বাংলার সাথে সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন পথে হাঁটতে পারে দিল্লি! বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে এবার ভারতের কাছে অনুরোধ রাখলেন ঢাকা সম্পর্কিত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তানের মতো শত্রুতার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা যাবে না বাংলাদেশকে!
বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন মারফত খবর, বাংলাদেশের সাথে সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রক বিষয়ক সংসদীয় কমিটিকে ওপার বাংলার স্বার্থ রক্ষাকারী কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো শত্রুতার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে চলবে না! বদলাতে হবে এদেশের সাথে সম্পর্কের দৃষ্টি।
জানা যাচ্ছে, বর্তমান বাংলাদেশের সাথে আগামী দিনে ভারতের সম্পর্ক কোন পথে যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বহু কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতামত চেয়েছে শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন বিদেশ মন্ত্রক বিষয়ক সংসদীয় কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ভারতের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, অবসরপ্রাপ্ত আর্মি জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন, জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডিন সহ বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন ভারতীয় হাই কমিশনার রেবা গাঙ্গুলী দাসের মতো বহু কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে বাংলাদেশের সাথে আগামী দিনের সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মতামত চেয়েছে বিদেশ মন্ত্রক বিষয়ক সংসদীয় কমিটি।
অবশ্যই পড়ুন: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুঁশিয়ারি! নিশানায় ইউনূস সহ তিন
বাংলাদেশে নতুন খেল দেখাতে পারে ভারত
ইউনূসের শাসনকালে পাকিস্তানের সাথে ক্রমশ সখ্যতা বেড়েছে বাংলাদেশের। কাছাকাছি এসেছে ঢাকা ও ইসলামাবাদ। শুধু তাই নয়, ভারত বিরোধী অন্যতম পরাশক্তি চিনের সাথেও সুসম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে ওপার বাংলার। বিগত মাসগুলিতে বাংলাদেশের বাজারে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে ড্রাগন। বলা চলে, চিনা পণ্যে ঠাসা বাংলাদেশের বাজার।
এদিকে পাকিস্তানের কু মতলবে পড়ে ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ইউনূসের বাংলাদেশ। এমতাবস্থায়, বহু বিশেষজ্ঞের দাবি, সবচেয়ে কাছের পড়শি বেহাত হওয়ার আগে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে ভারতকে। আর তা হলে তবেই ওদেশে কিছুটা হলেও ক্ষমতা পাবে দিল্লি! আদতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও মুখে মুখে তেমনটাই চায়! তবে মনে যে পাকিস্তানের ঢালা বিষ, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |