লোকসভা ভোট মিটতেই ভারতের হাতে এল এক ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। আর এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ দেখে বাঘা বাঘা লোকের বুক কেঁপে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে অন্যান্য সেক্টরের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সেক্টরকে শক্তিশালী করার প্রতি জোর দিচ্ছে ভারত। এবার এরই আওতায় ভারত এক বড় অস্ত্র পেল।
ভয় পাবে চিন, পাকিস্তান
এমনিতে সীমান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে চিন, পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্ক একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই ভারতীয় সেনার হাতে এল এক মোক্ষম অস্ত্র। আর এই অস্ত্র হল ‘Nagastra-1’। এটি একটি ড্রোন। এটিকে অনেকেই আত্মঘাতী ড্রোন বলছে।
শত্রুর ঘরে ঢুকে এয়ারস্ট্রাইক চালাবে
শত্রুর ঘরে ঢুকে এই এই ড্রোন এয়ার স্ট্রাইক চালাতে পারে। একদম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আত্মঘাতী ড্রোন নাগাস্ত্র-১-এর প্রথম ব্যাচ হাতে পেল ভারতীয় সেনা। এই ব্যাচে ১২০টি ড্রোন রয়েছে। এসব ড্রোন শত্রুপক্ষের বাঙ্কার, পোস্ট, অস্ত্র ডিপো ধ্বংস করতে সক্ষম। আত্মঘাতী ড্রোনকে বলা হয় মিলিটারি লোটারিং মিউনিশন। অর্থাৎ প্রচলিত ভাষায় আত্মঘাতী ড্রোন। এটি তৈরি করেছে ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড কোম্পানি এবং জেড মোশন অটোনোমাস সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড। দুটি সংস্থাই সৌর শিল্পের সহায়ক সংস্থা। মনে করা হচ্ছে, মোট ৪৫০টি নাগস্ত্র সেনাবাহিনীকে দেওয়া হবে। চীন সীমান্তের কাছে লাদাখের নুব্রা উপত্যকায় এর ট্রায়াল হয়েছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য ফাইটার জেটের প্রয়োজন হবে না। এই ড্রোনই সব কাজ করে দেবে।
এই ড্রোনগুলির শব্দ খুবই কম এবং কম দৃশ্যমান প্রযুক্তির সাহায্যে শত্রুর ঘরে লুকিয়ে প্রবেশ করতে পারে। এই অস্ত্রের দুটি রূপ রয়েছে। নাগাস্ট্রার দুটি ভ্যারিয়েন্টই ৬০ থেকে ৯০ মিনিট ধরে উড়তে পারে। এর অপারেশনাল রেঞ্জ ১৫ কিলোমিটার। এই ড্রোন ৪৫০০ মিটার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় শত্রুর ট্যাংক, বাঙ্কার, সাঁজোয়া যান, অস্ত্রের গুদাম বা সামরিক গোষ্ঠীর ওপর সরাসরি হামলা চালাতে পারে। যুদ্ধাস্ত্রগুলি ১৫ কিমি রেঞ্জ পর্যন্ত ১ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে পারে, একটি আপগ্রেড সংস্করণ ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২.২ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।