ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে সংঘাতের লীলা যেন থামার নামই নিচ্ছে না। মলদ্বীপের সরকার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখালেও ভারত কোনওরকম ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজি নয়। এমনিতে মলদ্বীপের মসনদে বসার পর থেকে মহম্মদ মুইজ্জু সরকার ভারতকে পাত্তা না দিয়ে চিনের প্রতি বেশি ঝুঁকতে শুরু করেছিলেন। যে কারণে যত সময় এগোতে থাকে ততই ভারত ও মলদ্বীপের মইজ্জু সরকারের মধ্যে অশান্তির বাতাবরণ আরও বাড়তে থাকে।
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কটাক্ষ যেন দুই দেশের সম্পর্কে কফিনের শেষ পেরেক পোঁতার মতো কাজ করে। যাইহোক, এবার মলদ্বীপের প্রতি আবারও একবার কড়া মনোভাব দেখালো ভারত। ভারতের এক সিদ্ধান্তের জেরে মলদ্বীপের ওপর এবার বিরাট চাপ পড়বে সেই নিয়ে ইতিমধ্যে আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, এবার ভারত মলদ্বীপের ওপর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রফতানির উপর বন্দর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
মলদ্বীপে পণ্য রফতানিতে বিধি নিষেধ ভারতের
এখন থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুধু চারটি শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে এসব পণ্য রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মুন্দ্রা সমুদ্র বন্দর, তুতিকোরিন সমুদ্র বন্দর, নাভা শেভা সমুদ্র বন্দর এবং আইসিডি তুঘলকাবাদ। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। সম্প্রতি ভারত ও দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে মলদ্বীপকে বয়কট করে লাক্ষাদ্বীপকে পর্যটন স্পট হিসেবে তুলে ধরতে শুরু করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা। তবে বর্তমানে উভয় পক্ষই তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে বলে জানানো হয়েছে দুই দেশের তরফে।
আরও পড়ুনঃ আরও কঠিন হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা! এই বড় বদল আনছে সংসদ, চিন্তায় পড়ুয়ারা
এর আগে গত ৫ এপ্রিল চলতি অর্থবছরের জন্য আলু, পেঁয়াজ, ডিম, চাল, গমের আটা ও চিনিসহ ৯টি পণ্য রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।