Indiahood-nabobarsho

‘সিরিয়াস দেশ নয় ভারত’, পাকিস্তানের বন্ধুকে ব্যবসায় লাভ করিয়ে দেওয়ায় সমালোচনার মুখে দিল্লি

Published on:

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত নাকি সিরিয়াস দেশ নয়! তুরস্কের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক (India and Turkey) এখন সাপে-নেউলে। বিশেষ করে এখন তুরস্ক পাকিস্তানের কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে বারবার ইসলামাবাদের পক্ষে কথা বলেছে। আর সেই আবহে ভারতের এই নরমপন্থী মনোভাব নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়। যেখানে জানা যাচ্ছে, IndiGo ও Turkish Airlines-এর কোডশেয়ার চুক্তি থেকে লাভের গুড় খেয়েছে তুরস্কের বিমান সংস্থা। এই দুই সংস্থার মধ্যে বহু বছর ধরেই চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির সূত্র ধরে তারা ইউরোপ এবং আমেরিকার 30টির বেশি গন্তব্যে যাত্রী পরিবহন করে। তবে রিপোর্ট বলছে, অংশীদারিত্বে করা ব্যবসায় ভারতের তুলনায় তুরস্কই বেশি সুবিধা পাচ্ছে। 

ভারত সিরিয়াস দেশ নয়?

এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো সুশান্ত সারীন তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ভারত কোন সিরিয়াস দেশ নয়। আমরা সাপকে খাওয়াই। তারপর তারা কামড়ালে অবাক হই। আর যারা আমাদের শত্রু, তাদের পুরস্কৃত করি। আর যারা বন্ধু তাদেরকেই উপেক্ষা করে দিই। ঠিক তুরস্কের সাথেও তেমনটা ঘটছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

পাকিস্তানে তুরস্কের অস্ত্র

তুরস্ক নাকি এখন তার বন্ধু দেশকে অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করছে! সূত্রের খবর, তুরস্ক তাদের বিখ্যাত Baykar ড্রোন নাকি ভারতীয় বিক্রি করেনি, বরং পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তা মেনে নিয়েও ভারত তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্পের সময় তো ভারতই তাদের সাহায্য পাঠিয়েছে। এমনকি Turkish Airlines-কে ভারতীয় এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ব্যবসার সুযোগ করে দিয়েছে।

সবথেকে অবাক করার বিষয়, মাত্র কয়েকদিন আগে ছয়টি তুর্কি মিলিটারি কার্গোপ্লেন নাকি পাকিস্তানে নেমেছে। সূত্রের খবর, সেগুলি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বহন করেছিল। আর এই ঘটনাটি ঘটেছিল কাশ্মীরের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঠিক পরপরই। উল্লেখ্য, তুরস্ক ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে Bayraktar TB2 এবং Akinci ড্রোন সরবরাহ করে ফেলেছে। সামরিক বলুন বা কূটনৈতিক, দুই দেশের সম্পর্ক এখন বেশ গলায়গলায় হয়ে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, 2025 এর ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান পাকিস্তান সফর করে। সেখানে তিনি কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছিলেন, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ। তবে তুরস্ক যখন ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসের দেশের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তখন তুরস্কের সঙ্গে ভারতের এই ঘনিষ্ঠতা কি সত্যিই মেনে নেওয়া যায়? এখন দেখার ভারত কোনও পাল্টা পদক্ষেপ নেয় কিনা।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group