সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিশ্ববাজারে খেল দেখাচ্ছে দিল্লি! গার্মেন্টস রপ্তানিতে এবার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উঠে আসলো মোদির ভারত (India)! বলে রাখি, চিন এবং বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের টেক্সটাইল ব্যবসায় দুই মহারথী হিসেবে নিজেদের নাম কামিয়েছিল! তবে এবার তারা মুখ থুবড়ে পড়েছে! কারণ চলতি বছরে সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে ভারত! হ্যাঁ, এবার পশ্চিম দিকের দেশগুলির বড় বড় ক্রেতারা ভারতের দিকেই পা বাড়াচ্ছে।
রপ্তানির রেকর্ডে ভারত শীর্ষে
গার্মেন্টস রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত এবার নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। রিপোর্ট বলছে, 2025 সালের মে মাসে ভারতে 11.3% পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। বলে রাখি, গত বছর আগস্ট মাস থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে ওপার বাংলায়।
শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই পদ্মাপাড়ের আন্তর্জাতিক বাজারে টালমাটাল অবস্থা! অন্যদিকে চিনের উপর ট্রাম্প যে শুল্কনীতি চাপিয়েছিল, তার জেরে দেশটির অর্থনীতি ধুঁকছে! এমনকি এর জেরে ভারতে কর ছাড়ও মিলছে। ফলে আসল লাভের গুড় খাচ্ছে ভারতই!
ভারতের প্রতি আস্থা বাড়ার নেপথ্যে কারণ কী?
প্রথমত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নীতিগত ধারাবাহিকতার জেরে ভারত এখন আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের প্রথম পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি ভারতের পণ্যের গুণমান এখন আগের তুলনায় অনেকটাই উন্নত হয়েছে। এমনকি সময় মতো ডেলিভারির রেকর্ডেও ভারত শীর্ষে।
শুধু তাই নয়, চিনের তুলনায় ভারতে প্রচুর কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি ওপার বাংলার রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ধর্মীয় উত্তেজনার মতো কোনো পরিস্থিতি ভারতে নেই। তার জন্যই পশ্চিম দিকের দেশগুলি ভারতের সাপ্লায়ারদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে বলছে এবং দিনের পর দিন অর্ডার বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকা নিয়ে গেলে হয়ে যাবেন রাজা! ভারতীয় রুপির সামনে শিশু ইরানি রিয়াল
বাংলাদেশ তো পিছিয়েই, ধারেপাশে নেই পাকিস্তান
যদিও বাংলাদেশ এখনও উৎপাদনে পাকাপোক্ত এবং স্বল্প সময়ে বিশাল পরিমাণে অর্ডার পূরণ করতে সক্ষম, এমনকি ক্রেতাদের কাছেও বিশ্বাসযোগ্য। তবে একের পর এক অর্ডার যাচ্ছে ভারতের ঝুলেতেই। অন্যদিকে পশ্চিম দিকের সন্ত্রাসের রাষ্ট্র 2024 সালে মাত্র 24 বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করেছে, যেখানে ভারতের গার্মেন্টস রপ্তানি পশ্চিম বাজারেই 10 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের গার্মেন্টস রপ্তানি দিনের পর দিন যত বাড়ছে, কাঁচামালের চাহিদাও তত বাড়ছে। রিপোর্ট বলছে, 2024-25 অর্থবর্ষে তুলোর আমদানি 3.3 মিলিয়ন ছাড়াতে পারে, যেখানে আগের বছর ছিল 1.52 মিলিয়ন। আর এ কারণেই দেশের তুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেকটাই চড়া।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |