সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: একদিকে জিনপিং-এর দেশের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, আর অন্যদিকে দেশের শিল্প খাতে ঘাটতি! আর এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল ভারত। হ্যাঁ, এবার দিল্লি চিনের সাথে একচেটিয়া আধিপত্য থেকে বেরিয়ে আসছে। কেন্দ্র সরকার 3500 থেকে 5000 কোটি টাকার এক বিরাট প্রকল্পেরও ঘোষণা করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, যার অনুমোদন আসতে পারে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই।
সমস্যা কী নিয়ে?
আসলে বিশ্বজুড়ে গাড়ি নির্মাণ, বৈদ্যুতিক যানবাহন, টারবাইন বা নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে রেয়ার ম্যাগনেট (Rare Earth Magnet) সবথেকে বড় ভূমিকা নেয়। আর ভারতের চাহিদার বেশিরভাগ অংশই যোগান দেয় চিন। তবে সমস্যার সূত্রপাত এপ্রিল মাসে। চিন যখন এই রেয়ার ম্যাগনেট উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনই ভারতের অটোমোবাইল সেক্টর মুখ থুবড়ে পড়ে।
কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য কী?
বলে রাখি, কেন্দ্র সরকার চাইছে দ্রুত ঘরোয়া পর্যায়ে এই বিরল খনিজের উৎপাদন শুরু করতে এবং চিনের একচেটিয়া রপ্তানির বিকল্প গড়ে তুলতে। পাশাপাশি আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে উঠতে চাইছে ভারত। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই রিভার্স বিডিং মেকানিজমের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থাকে ইনসেন্টিভ দেবে কেন্দ্র, এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত সরকারি বেশ কিছু সূত্র বলছে, দেশের 5টি বড় বড় কোম্পানি এই প্রকল্পে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাও চলছে। হায়দ্রাবাদের এক নামজাদা সংস্থাকে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ DVC-র জল ছাড়ায় ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলি! তালিকায় আপনার এলাকা?
ভারতের চাহিদা ঠিক কতটা?
হিসাব বলছে, 2025 সালের মধ্যে ভারতের চাহিদা 4010 মেট্রিক টনে পৌঁছবে। আর 2030 সালের মধ্যে সেই চাহিদা গিয়ে ঠেকবে একেবারে 8220 মেট্রিক টনে। এমনকি এর মধ্যে 50 শতাংশ চাহিদা তৈরি হবে ইলেকট্রিক গাড়ি এবং উইন্ড টারবাইনকে কেন্দ্র করে। কারণ দিনের পর দিন দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
আর এই বিপুল পরিমাণ চাহিদা বৃদ্ধির জন্য এখন উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিতে পারলে পরবর্তীতে যে শিল্প খাতে বিরাট সমস্যা তৈরি হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই আশঙ্খাকে সামনে রেখেই কেন্দ্র সরকারের এই বিরাট পদক্ষেপ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |