বাংলাদেশকে দায়িত্ববোধ বোঝাতে বড় পদক্ষেপ ভারতের! এবার কী পেঁয়াজ, আলু, ডিম রফতানি বন্ধ?

Published on:

muhammad yunus narendra modi

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়ে উঠছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তরবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে পদ্মাপারে স্থিতাবস্থা ফিরে আসবে বলেই মনে করেছিল প্রতিবেশী দুই দেশের মানুষ। তবে সে গুড়ে বালি। এই ঘটনার ৩ মাসও যায়নি, অস্থিরতায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন অনভিপ্রেত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত থেকে শুরু করে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশ। কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। শুধুমাত্র তাই নয় এই ঘটনার আঁচ পড়েছে সীমান্তেও। টান পড়েছে সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপরেও। সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাকের পর ট্রাক। এদিকে ক্রমাগত বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকের এগোচ্ছে সেদেশের।

বাংলাদেশে বারবার টার্গেট হিন্দুরা, ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি

WhatsApp Community Join Now

বাংলাদেশে যে পরিমাণে বারবার টার্গেট হচ্ছেন হিন্দুরা সেই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লিরও। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে চরম বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা, তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং ধর্মীয় স্থানে আক্রমণের ঘটনা নিয়ে আমরা একাধিকবার রিপোর্ট পেয়েছি। আগস্ট মাসে সরকার বদলে পর থেকে শুরু হওয়া এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করা হয়েছে।’

সেইসঙ্গে ইসকন ইস্যুতেও চরম বার্তা দিয়েছে ভারত। ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়া দিল্লি জানিয়েছে, ‘আইনের অধিকার অক্ষুন্ন রেখে ধৃত চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে নিরপেক্ষ বিচার পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব অন্তর্ভুক্তি সরকারেরই।’ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। কূটনৈতিক স্তরে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং ঢাকাকে বলা হয়েছে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশকে জিনিস পাঠানো বন্ধ করবে ভারত?

এসবের মাঝে আরও একটা জিনিস হল যেটা সেটা হল বাংলাদেশকে অনেককিছু বিষয়তেই ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। বিশেষ করে খাদ্যবস্তু। যেমন, ডিম, পেঁয়াজ, বিদ্যুৎ, ওষুধ ইত্যাদি। অর্থাৎ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশকে ডিম, পেঁয়াজ, জল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার মতো হঠকারী কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি। তবে কূটনৈতিকবিদরা এও আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশ যেভাবে ভারতকে ইলিশ পাঠাতে গড়িমসি করেছিল ভারতও সেই পথে হাঁটলেও হাঁটতে পারে। যদিও এই বিষয়ে দুই দেশের তরফে কোনোরকম মন্তব্য করা হয়নি।

সঙ্গে থাকুন ➥
X