বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের (Russia Ukraine War) মাঝে এবার চিন্তা বাড়ল ভারতের! শোনা যাচ্ছে, রাশিয়ায় ড্রোন হামলার পর এবার ইউক্রেনকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, ইউক্রেনীয় হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার পদক্ষেপই হবে ভারতের মাথা যন্ত্রণার কারণ! কেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরের পর বছর ধরে ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বকে এবার নিশানায় আনতে পারে রাষ্ট্রসংঘ। আর সেই সূত্র ধরেই, আগামী দিনে ভারতের গতির ওপর বোমা ফেলা হতে পারে! আসলে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মতো যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করে, তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাষ্ট্রসংঘ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে বিরাট ক্ষতি হতে পারে ভারতের!
বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে লাগাতার তেল কেনার কারণে এবার ভারতের ওপর কঠোর হতে পারে রাষ্ট্রসংঘ! যা জানা যাচ্ছে, আগামী দিনে ভারতের ঘাড়ে 500 শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা নাকি হয়ে গিয়েছে! বলা বাহুল্য, গত মার্চের তথ্য অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে রাশিয়াই ভারতের বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী দেশ। ভারতের মোট তেল আমদানির অন্তত 36 শতাংশ আসে রাশিয়া থেকেই।
মার্চের পর গত এপ্রিলে সেই আমদানির পরিমাণ 39.3 শতাংশে পৌঁছেছিল। আসলে আমেরিকা সহ পশ্চিমের দেশগুলি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সত্ত্বেও সেইসব আপত্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বন্ধু দেশ রাশিয়া থেকে বিপুল ছাড়ে তেল কিনে গিয়েছে ভারত। বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, ইউক্রেনের সাথে চলমান সংঘর্ষের ফলে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। যা ভারতের জন্য একপ্রকার বিস্ফোরকসম হবে।
অবশ্যই পড়ুন: বাড়ছে মশালের তেজ, ইস্টবেঙ্গলে ফিরছেন মাঠ কাঁপানো ভয়ঙ্কর ফুটবলার!
কেননা, ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার চলমান সংঘর্ষ যদি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেয় তবে বিশ্ব বাজারে তেল ও গ্যাসের দাম মাত্রা ছাড়াবে। ফলত, স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তেলের দাম বাড়লে তার প্রভাব পড়বে ভারতে। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে রাষ্ট্রসংঘ। শুধু তাই নয়, এও কানে আসছে যে, রাশিয়া থেকে তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করলে এবার থেকে ভারতের মতো দেশগুলির ওপর 500 শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে রাষ্ট্রসংঘ। যার একমাত্র লক্ষ্য, রাশিয়াকে দুর্বল করা এবং ভারত ও চিনের মতো বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের চাপে রাখা।