বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিরল খনিজ সম্পদে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চিন। তাতে একদিক থেকে যেমন চটেছে আমেরিকা, তেমনই মেজাজ বিগড়েছে ভারতেরও। ইতিমধ্যেই বিরল খনিজ রপ্তানিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করেছে শি জিনপিং সরকার। এদিকে ড্রাগনের এমন পদক্ষেপকে বিশ্ব অর্থনীতির কাছে সরাসরি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে আমেরিকা। ঠিক সেই আবহে বিরল খনিজ সরবরাহ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত। যার মধ্যে রয়েছে চিলি এবং পেরুর মতো দেশগুলির সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India On Rare Earth)। এছাড়াও, খনিজগুলি আবিষ্কারের জন্য প্রচার এবং ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বিষয়টিও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিরল খনিজ সম্পদ সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে মরিয়া ভারত!
নবভারত টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিরল খনিজ সম্পদের উপর থেকে চিনের একচেটিয়া আধিপত্য ধ্বংস করতে ইতিমধ্যেই একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে নয়া দিল্লি। সম্প্রতি বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল একটি অনুষ্ঠানে এ নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে তাদের সাপ্লাই চেইনে কিছুটা বৈচিত্র আনতে এবং একে অপরকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘জাপান এবং কোরিয়ান কোম্পানিগুলি যেভাবে তাদের শিল্পকে সমর্থন করে সেটা থেকে আমাদেরও শেখা উচিত। এটা এখানেও হওয়া দরকার।’
এদিন ওই অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোয়েল প্রশ্ন তোলেন, কেন জাপান এবং কোরিয়া শুধুমাত্র ভারত থেকেই ইস্পাত কেনে?’ মন্ত্রীর বক্তব্য, চিন বিরল খনিজ সম্পদে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার জন্য গোটা বিশ্বের সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত অস্ট্রেলিয়া, চিলি এবং পেরুর মতো দেশ থেকে বিরল খনিজ সম্পদ পাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের কাছে এসব খনিজ পদার্থের বিপুল মজুদ রয়েছে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও বলেন, ‘খুব শীঘ্রই পরবর্তী দফার বাণিজ্য আলোচনার জন্য ভারত থেকে একটি দল দক্ষিণ আমেরিকার এই দুই দেশে সফর করতে চলেছে।’ তাছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যে ভারতের একটি বাণিজ্য চুক্তি আছে, এদিন সেটাও স্মরণ করিয়ে দেন গোয়েল।
অবশ্যই পড়ুন: খেলেছেন কোহলির নেতৃত্বে, অবসর ঘোষণা কাশ্মীরের ক্রিকেটার পারভেজ রসুলের
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংযোজন ছিল, ‘আমরা দেশের অন্দরে বেশি খোঁজাখুঁজি চালাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন স্টার্টাআপের সাথে আলোচনা করছি। এই স্টার্টআপ সংস্থাগুলি বিরল খনিজ অপসারণের জন্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাজ করবে। তারা নিজেরাই ভারতে প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা স্থাপন করতে সাহায্য করবে।’ বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, বিরল খনিজ সম্পদের উপর চিনের একচেটিয়া আধিপত্য একটি বৈশ্বিক ভূ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্বেগ।