প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: গত মঙ্গলবার থেকে চরম উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশ। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নিরপরাধ নিরস্ত্র পর্যটকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার যোগ্য জবাব দিতে রণমূর্তি ধারণ করল ভারত (India Pakistan Conflict)। যার পরে পালটা আঘাত শুরু করেছে পাকিস্তানও। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখনও অবধি ভারতের আক্রমণে পাকিস্তানের নাজেহাল দশা। কুপোকাত হয়ে গিয়েছে ভারতের অস্ত্রের কাছে।
এদিকে গতকাল, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যের বাজারদর নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, “বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কালোবাজারি বা দাম বাড়ানোর চেষ্টা না করে। এর জন্য সরকার বাজারে কড়া নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চলেছে।” দীর্ঘক্ষণ চলে সেই বৈঠক। আর এবার পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের আবহে দেশের মধ্যে জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় ব্যবস্থা যাতে নিখুঁত ভাবে কাজ করে, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার।
কালোবাজারি রুখতে মোদীর বৈঠক
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের সচিবদের সঙ্গে কালোবাজারি রুখতে এবং জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে, সমস্ত জরুরি ব্যবস্থা যেন নিখুঁত ভাবে কাজ করে। জাতীয় সুরক্ষা, সামরিক প্রস্তুতি ও নাগরকিরদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমলাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। দেশ সংবেদনশীল সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে। কোনো সাধারণ মানুষকে যেন এই সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।”
এছাড়াও বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন যে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আগেই গত বুধবার দেশ জুড়ে নাগরিক সুরক্ষার মহড়া বা ‘মক ড্রিল’ হয়েছিল। এবার এই নাগরিক সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ভুয়ো খবর দেশের মধ্যে অশান্তি ও উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। সেক্ষেত্রে অকারণ আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। তাই এর মোকাবিলার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রকগুলিকে রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এগোতে বলা হয়েছে।
জিনিসপত্রের দামের উপর কড়া নজর
এর আগে গত বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজি-দের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকেও খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে রাজ্যগুলিকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল। এমনকি সেই বৈঠকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবা ব্যবস্থাপনা আইন (এসমা) জারি করার কথাও ওঠে। জানা গিয়েছে শেষবার অতিমারির সময়ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে এই আইন জারি হয়েছিল। খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রককে বাজারে জিনিসপত্রের দামের উপরেও কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |