প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: শুরুটা হয়েছিল পহেলগাঁও-এ সন্ত্রাসবাদীদের হামলা (India Pakistan Tension) দিয়ে। আর সেই হামলার প্রতিশোধ নিতেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেয় ৯ টি জঙ্গির ঘাঁটি। তারপরেই পাকিস্তানের সেনারা সীমান্তে গোলাবর্ষণ করতেই থাকে। এদিকে ভারতও চুপ নেই। ভারতীয় সেনাদের একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। করাচি নৌ বন্দরে হামলা আইএনএস বিক্রান্তের। ইসলামবাদ, লাহৌর, পেশোয়ারে প্রত্যাঘাত। ধ্বংস পাকিস্তানের ডিফেন্স সিস্টেম।
ভারতে বাতিল পাকিস্তানি কন্টেন্ট
তবে এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানের আঁখরা ভারতের মাটি থেকে পুরোপুরি গোটানোর জন্য ইতিমধ্যেই বিনোদন জগতেও থাবা বসিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, পাকিস্তানি মিডিয়ার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সমস্ত ওটিটি এবং মিডিয়া স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, কোনও পাকিস্তানি ওয়েব সিরিজ, ছবি, গান, পডকাস্ট বা যে কোনও স্ট্রিমিং মিডিয়া কন্টেন্ট ভারতে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত। অর্থাৎ কোনও ভারতীয় পাকিস্তানি কন্টেন্ট দেখতে পারবে না। আর এই আবহে বাংলাদেশেরও সম্প্রচার বন্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
বাংলাদেশি চ্যানেল বাতিল ভারতে!
জানা গিয়েছে, ভারতে এই মুহুর্তে বাংলাদেশের মোট ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় অ্যাপ ইউটিউব। জানা গিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্তের কারণ দেখিয়ে ভারত সরকার ইউটিউবে বাংলাদেশের চ্যানেল বন্ধের অনুরোধ করেছিল। তার পরেই নাকি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইউটিউব। জানা গিয়েছে বাংলাদেশের এই ছয়টি চ্যানেলই ইউটিউব ভেরিফায়েড। এবং এদের মোট সাবস্ক্রাইবার ৫ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি।
ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ ফয়েজ আহমদের
এই বিষয়টি নিয়ে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, “ইউটিউব সংস্থা ভারতের ভৌগোলিক সীমায় অন্তত চারটি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল জিও-ব্লক করেছে। সেগুলি হল যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, ও মোহনা টিভি। কিন্তু কেন এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এই নিয়ে আমরা ইউটিউব-এর কাছে এর ব্যাখ্যা চাইব। যদি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পাওয়া যায় তাহলে আমরা পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব। ”
এদিকে ভারত বসবাসকারী বাংলাদেশিরা চ্যানেলগুলোর কোনো কন্টেন্ট দেখতে না পাওয়ায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফয়েজ আহমেদ। যখনই কোনো ভারতীয় ব্যবহারকারী এই চ্যানেল খুলছে তখনই ব্যবহারকারীদের সামনে বার্তা আসছে যে, “জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কারণে এবং সরকারি আদেশের জন্য এই কনটেন্ট এই দেশে আপাতত অনুমোদিত করা হচ্ছে না।” তার উপর আজ আরও দুটি বাংলাদেশী চ্যানেল সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যুদ্ধের আবহে এই ভুল করলেই শেষ, খোয়া যাবে সব! বিনিয়োগকারীদের জন্য রইল টিপস
এদিকে পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলায়, ২৬ জনের মৃত্যুর পরে পাকিস্তানের সমস্ত গায়ক এবং অভিনেতাদের ইনস্টাগ্রাম থেকে ব্লক করা হয়েছিল। কোনও পাকিস্তানি অভিনেতার পোস্ট ভারতে দেখা যাবে না। যদিও, পাকিস্তানি তারকারা এবিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।