পিনকোড অতীত, আসছে নয়া যুগের ‘ডিজিপিন’, এভাবে বলে দেবে রাস্তা থেকে ঠিকানা

Published on:

Digipin

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার তৎপরতায় একের পর এক চমক দেখা যাচ্ছে দেশ জুড়ে। ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে যেমন এক নয়া নজির গড়ে তুলেছে ভারত ঠিক তেমনই পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে আধুনিকতার মেলবন্ধন দেখা গিয়েছে। আর এই আবহে চিঠি বা পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার পরিষেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন নিয়ে আসতে চলেছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। এখন থেকে প্রতিটি ঠিকানার জন্য থাকবে একটি ডিজিটাল আইডি (Digipin)।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

আমরা বরাবরই ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পিনকোড ব্যবহার করে থাকি। প্রতিটি এলাকায় একটি করে নির্দিষ্ট পিনকোড দেওয়া থাকে। আর এক্ষেত্রে সকলের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে যে এই পিনকোডের ব্যবহার কেন করা হয়? আসলে পিনকোড হল ভারতের কোনও নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করার জন্য ডাক বিভাগ নির্ধারিত একটি ছয় সংখ্যার নম্বর। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঠিকানায় গ্রাহকদের চিঠি এবং পার্সেল পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু এই পিনকোড নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে মাঝে মধ্যেই। সঠিক পিনকোড দেওয়া সত্ত্বেও অনেক সময়ই নির্ধারিত ঠিকানায় চিঠিপত্র সময়ে এসে পৌঁছোতে পারে না।

সহজেই মিলবে কুরিয়ার সার্ভিস

শুধু তাই নয় অনেক সময় দরকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চিঠি সঠিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে না পৌঁছনোতে অনেক বড় বিপর্যয়ে যায়। তাই এই সমস্যা দূর করতে, ভারতীয় ডাক বিভাগ একটি নতুন ঠিকানা ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। ঠিকানার ক্ষেত্রে এবার ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে একটি ডিজিটাল আইডি নিয়ে আসা হচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি ঠিকানা সঠিক এবং দ্রুত খুঁজে বার করা যাবে খুব সহজেই। জানা গিয়েছে ডিজিপিনের (Digipin) এই কোডটি তৈরি হবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশের উপর ভিত্তি করে। আর এই ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে খুব সহজেই কোনও কুরিয়র সঠিক ঠিকানায় পৌঁছোতে কোনও সমস্যায় পড়বে না।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কীভাবে তৈরি হবে ডিজিপিন?

প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ডিজিপিন’ নামক এই নতুন ঠিকানা ব্যবস্থা চালু করার নেপথ্যে রয়েছে আইআইটি হায়দ্রাবাদ এবং ইসরো। যার একমাত্র লক্ষ্য হল, দেশের সঠিক ডিজিটাল ঠিকানা পরিকাঠামোকে উন্নত করে গড়ে তোলা। তার জন্য গোটা দেশকে ৪ মিটার x ৪ মিটারের ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করা হবে। আর এই ১৬ বর্গমিটারের নিরিখে মেপে প্রতিটি অংশকে নির্দিষ্ট ডিজিপিন দেওয়া হবে। বাদ যাবে না সমুদ্র বা উপকূল সীমান্ত। এর ফলে যে সব এলাকায় এতদিন ঠিকানা না থাকার জন্য সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হত সেখানেও চালু হবে এই পদ্ধতি।

আরও পড়ুন: স্নাতকস্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বড় আপডেট! বিজ্ঞপ্তি জারির দিনক্ষণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

কীভাবে পাওয়া যাবে ডিজিপিন?

এখন সকলের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কীভাবে কোনো ব্যক্তি নিজের বাড়ির ডিজিপিন খুঁজে বের করবে। সেক্ষেত্রে প্রথমে ডিজিপিনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। পেজটি খোলার পর, সেখানে সম্পূর্ণ ঠিকানা বা জিপিএসের অবস্থান লিখতে হবে। ঠিক কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সিস্টেমটি আপনার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আপনাকে ১২-অক্ষরেrর কটি অনন্য কোড দেবে।

আর সেই ১২-অক্ষরের কোডটি হবে সেই ব্যক্তির ডিজিপিনের ঠিকানা। ইতিমধ্যেই ডাক বি‌ভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ডিজিপিনের পোর্টাল ও অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্যবস্থাটি প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষামূলক ভাবে কার্যকর করার কথা চিন্তা করা হয়েছে।

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group