নয়া দিল্লিঃ সেইদিন হয়তো আর বেশি দূরে নেই যখন ট্রেনে করে ভারত থেকে শ্রীলঙ্কা এবং শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে আসা সহজ হবে। আর এর জন্য ভারতের তরফে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে খবর। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। জানা গিয়েছে, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেল সংযোগ নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আর এই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পরিবেশ সচিব প্রবাথ চন্দ্রকীর্তি।
৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে ভারত!
জানলে অবাক হবেন, এই প্রকল্পের পুরো খরচ বহন করবে ভারত। এটি দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে ঘোষিত প্রথম বড় অবকাঠামো প্রকল্প। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় অনুরা কুমার দিসানায়েক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর এহেন অবস্থায় ভারতের বড় চুক্তির কথা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে। অনেকেই আবার মনে করছেন, চিনকে ঠেকাতেই মূলত এরকম কাজ করতে উদ্যত হয়েছে নয়াদিল্লি। ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কায় ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪২ মিলিয়ন ডলার।
শ্রীলঙ্কার পরিবেশ সচিব প্রবাথ চন্দ্রকীর্তি জানান, ‘গত মাসে আমি নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম । এই বৈঠকে স্থির হয় আমরা ভারতের রামেশ্বরম এবং শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালির মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করবা। এই সংযোগের ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসা উপকৃত হবে।’ ২০০২ সালে ভারতের রামেশ্বরম থেকে শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপের তালাইমান্নারের মধ্যে একটি স্থল সেতু নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু এরপরই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে তামিলনাড়ু সরকার।
সেতু নিয়ে বিরোধ
২০১৫ সালে আলোচনা আবার শুরু হয়, যখন ভারত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে রামেশ্বরম ও তালাইমান্নারের মধ্যে সড়ক ও রেল সংযোগের জন্য প্রাক সমীক্ষা পরিচালনা করার অনুরোধ জানায়। তবে এখন ত্রিনকোমালি পর্যন্ত রেলপথ ও সড়ক সংযোগ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাইহোক, বর্তমানে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে কোনও সড়ক বা রেল যোগাযোগ নেই। ভারতের ধনুশকোডিতে একটি রেলওয়ে স্টেশন ছিল, তবে ১৯৬৪ সালের ঘূর্ণিঝড়ে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত থালাইমান্নার এবং ধনুশকোডির মধ্যে একটি ছোট নৌকা পরিষেবা ছিল। চন্দ্রকীর্তি বলেন, ‘এই নতুন প্রকল্পের ব্যয় এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের এটি নিয়ে আরও আলোচনা করতে হবে, তবে এটি প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।’