বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে বড় শিক্ষা দিয়েছে ভারত! যদিও শিক্ষা পেয়েও লজ্জা হয়নি বেহায়া পড়শির! আজও দিল্লির বিরুদ্ধে নানান কুন্তব্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে ইসলামাবাদ। তবে সেসবের মাঝেও বারংবার ভারতের কাছে একেবারে কেঁদে কেটে সিন্ধু নদের (Indus River) জল পাঠানোর অনুরোধ করছে পশ্চিমের দেশ।
এহেন আবহে, পাকিস্তানের আবেদন উড়িয়ে সিন্ধুর জল কীভাবে আরও বেশি করে দেশের স্বার্থে ব্যবহার করা যায় সেই পরিকল্পনায় হাতে লাগিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। এমতবস্থায়, শোনা যাচ্ছে আরও বড় এক পরিকল্পনার কথা। ভারতের এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে দাবি করছে, সিন্ধু নদের জল পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানে ব্যবহার করতে এবার 113 কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে ফেলল দিল্লি।
নয়া পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়ে, সিন্ধু নদের জল হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে ব্যবহার করতে খুব শীঘ্রই 113 কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল তৈরি করবে ভারত। এ প্রসঙ্গে গত শনিবার রাজস্থানে বিজেপির এক প্রশিক্ষণ শিবির থেকে সিন্ধু নদের জল ব্যাপকভাবে কাজে লাগাতে নতুন পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন তাঁর বক্তব্য ছিল, আগামী তিন বছরের মধ্যে ওই খালের মাধ্যমেই রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে নিয়ে আসা হবে সিন্ধুর জল। এদিন দলীয় শিবির থেকেই ভারতের আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা জানানোর পাশাপাশি পাকিস্তানকে একেবারে নিশানায় এনে শাহ বলেন, পাকিস্তান সিন্দুর প্রতি বিন্দু জলের জন্য আকুল হয়ে প্রার্থনা করবে।
অবশ্যই পড়ুন: রোহিত, বিরাটের ভূমিকায় দুই দিগপাল! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এমন হতে পারে ভারতের একাদশ
প্রস্তাবিত খালের সাথে জুড়বে অন্যান্য খালগুলিও
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার মূলত হরিয়ানা, রাজস্থান ও পাঞ্জাবে যে প্রস্তাবিত খালের মধ্যে দিয়ে সিন্দুর জল পৌঁছে দিতে চাইছে, সেই খালটি নাকি জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থান জুড়ে বিস্তৃত 13টি খালের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এ প্রসঙ্গে মনোহর পরিক্বর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিস অ্যান্ড অ্যানালিসিসেরে শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, খাল তৈরির মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রের এমন বড় পদক্ষেপ আঞ্চলিক বৈষম্যতা দূর করবে। একই সাথে জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা ও বৃষ্টিপাতের পরিবর্তনের ধরনও মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ওই খালটি।