ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বর্তমানে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। পদত্যাগ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর পরবর্তী গন্তব্য কি হবে, কিছুই জানা নেই। এদিকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান। তিনি জানিয়েছেন যে, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওপার বাংলার সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন যে, প্রতিটা হত্যার বিচার হবে। পাশাপাশি তিনি দেশবাসীকে শান্ত থাকারও আবেদন জানিয়েছেন।
তবে, এরই মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। শরণার্থী উদ্বেগেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর যার কারণে বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তে একের পর এক লাইন লাগাচ্ছে ভারতীয় সেনার ট্রাক। অনুপ্রবেশ আটকাতে ফুলবাড়ি সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফুলবাড়ি সীমান্তে আপাতত বন্ধ আমদানি-রফতানি। এদিকে ভারতের তরফে এই মুহূর্তে নাগরিকদের বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
‘মোদী হস্তক্ষেপ করবেন’
এদিকে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে বড় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে চলা বিক্ষোভে অনেক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে খবর পেয়েছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আসছেন।’ লকেট আরও বলেন, ‘হাসিনার ভারতে আসার প্রধান কারণ হল, তিনি বিশ্বাস করেন যে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত নিরাপদ দেশ। পশ্চিমবঙ্গ ভাশাগত ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশে সঙ্গে সংযুক্ত। আমাদের আশা ওপার বাংলার পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হবে। দরকার হলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করবেন।’
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মমতা
এদিকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাংলার জনগণকে সংযত থাকার আহ্বান জানাই। কেউ কোনও উস্কানিতে লিপ্ত হবেন না। এই বিষয়ে দুই দেশ জড়িত। কেন্দ্র সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।’