প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এবার রাশিয়ার পারমানবিক সংস্থা রসাটোম সঙ্গে কথা বলছে ভারতীয় রেল (Indian Railways) বিকাশ নিগম লিমিটেড। জানা গিয়েছে যে নয়া চার প্রজেক্টের কথা ভাবা হচ্ছে সেখানে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা ভাবছে। আর সেই কারণে রাশিয়ার ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ লাইনের যে মেগা প্রজেক্ট চলছে, তার জন্যই রুশ সংস্থা ‘রসাটোম’-এর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে কি এবার ভারতীয় রেলের সঙ্গে রাশিয়া সংস্থার ব্যাপক মেলবন্ধন দেখা যাবে?
আলোচনা চলছে রুশ সংস্থা ‘রসাটোম’-এর সঙ্গে
দূরে কোথাও ভ্রমণ হোক বা মাঝারি দূরত্ব— স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করতে অনেকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে ভরসা রাখেন ভারতীয় রেলের ওপর। আর এই আবহে যাত্রী এবং পরিবেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, ইয়াভাতামাল-নানদেদ, ইন্দোর-বুদনি- এই চার প্রজেক্টের জন্য নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরের কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ লাইনের যে মেগা প্রজেক্ট চলছে, তার জন্যই রুশ সংস্থা ‘রসাটোম’-এর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
প্রযুক্তির ইনস্টল প্রক্রিয়া নিয়ে নো চাপ!
এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক RVNL-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রুশ সংস্থার সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। আসলে এসএমআর হল একটি অত্যাধুনিক নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটর, যা থেকে 300 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
এমনকি এটি ইনস্টল করতেও খুব বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। সেক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ইনস্টল প্রক্রিয়া নিয়ে যে খুব একটা চাপের মুখে পড়তে হবে না সংস্থাকে, তা বেশ বোঝাই যাচ্ছে। এদিন ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন যে, গত বাজেটেও নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটর ব্যবহারের কথা বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আহমেদাবাদের মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে কলকাতা বিমাবন্দরেও? উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
আসলে ভারতীয় রেলের উদ্দেশ্য হল একটাই 2030-এর মধ্যে ভারতীয় রেলকে সম্পূর্ণ কার্বন-মুক্ত করা। অর্থাৎ পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে ভারতীয় রেল এবার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে। শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে ভারতীয় রেলের এই চার প্রজেক্টের জন্য মোট 8টি রিঅ্যাকটর তৈরি করে দেবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রসাটোম। তবে পুরো প্রক্রিয়াটাই এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বাস্তবায়িত হতে এখনো বেশ কিছু সময়ের প্রয়োজন। তাই কবে প্রজেক্ট কার্যকর হবে, সেটাই এখন দেখার।