প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: ছুটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বরাবর নাক উঁচু থাকে সরকারের। কীভাবে কম ছুটিতে কর্মীদের দিয়ে শীঘ্রই কাজ হাসিল করা যায় তার চিন্তা ভাবনা থাকে। এদিকে কর্মীদের কাছে এক্সট্রা ছুটি মানেই লটারি লেগে যাওয়া। কিন্তু সেক্ষেত্রে যদিও ভাগ্য খুব একটা সায় দায় না। তবে সম্প্রতি সরকার তাঁর কর্মীদের জন্য স্পেশ্যাল ক্যাজুয়াল লিভ এর ব্যবস্থা করল। জানা গিয়েছে বছরে চার বার রক্তদানে এই ছুটি মিলবে সংশ্লিষ্ট সেই চার দিন। স্বেচ্ছায় রক্তদানে কর্মীদের উৎসাহ জোগাতে এমনই উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল।
ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ের রেলের বিজ্ঞপ্তি
সম্প্রতি দেশ জুড়ে রেলের বিভিন্ন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারদের কাছে স্পেশ্যাল ক্যাজুয়াল লিভ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, যাঁরা স্বেচ্ছায় লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান করতে চলেছেন এবার থেকে সেই সমস্ত রেলকর্মীদের সেই দিনের জন্য একটি বিশেষ ক্যাজুয়াল লিভ দেওয়া হবে। এই নিয়ম শুধু ব্লাড ডোনেশন নয়, রক্ত থেকে লোহিত কণিকা, প্লাজমা, প্লেটলেট ইত্যাদি পৃথক ভাবে দান করলেও কোনও রেলকর্মী এবার ছুটি নিতে পারবেন। আর এই বিশেষ ছুটির অনুমোদন দিয়েছেন রেল পর্ষদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর নমিতা নেগি।
প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিটু এবং আইএনটিইউসি
রক্তদানকে কেন্দ্র করে রেলের এই মহা উদ্যোগকে প্রশংসার সুরে স্বাগত জানিয়েছে চিত্তরঞ্জনের স্বীকৃত দুই শ্রমিক সংগঠন সিটু এবং আইএনটিইউসি। আইএনটিইউসি-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং জানিয়েছেন রেলের এই উদ্যোগে এখন আরও বেশি কর্মীরা রক্ত দিতে উদ্যোগ নেবেন। এমনিতেই শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় যে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় তাতে আরও বেশি মাত্রায় রেলকর্মীরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে উৎসাহিত হবেন।”
পাশাপাশি রেলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন চিত্তরঞ্জন সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটি। এই সংস্থাও দীর্ঘদিন ধরে রক্তদান নিয়ে কাজ করে চলেছে। এই সংগঠনের সভাপতি মৃণ্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ প্রতি শিবিরে প্রায় ৮০০ মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। আর এই আবহে রেলের এই উদ্যোগে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। এছাড়াও আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় সহ আরও চিকিৎসক এই উদ্যোগকে নমস্কার জানিয়েছেন।