পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হল ভারতীয় রেল। রোজ কয়েক কোটি মানুষ কর্মসূত্রে হোক বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে লোকাল থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্যবহার করেন। তবে ট্রেনের যাত্রা নিয়ে প্রায়দিনই হাজারো অভিযোগ শুনতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রাইভেটাইজেশন হলে হয়তো পরিষেবার উন্নতি হতে পারে এমনটা মনে করেন একাংশের মানুষ। তাই বিগত কিছু বছর যাবৎ রেলের কিছু ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল আনার চেষ্টা চলছে।
রেলের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্প । Indian Railway New PPC Model
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে নতুন করে কমার্শিয়াল লাইন বা ফ্রেইট করিডোর তৈরির জন্য পিপিপি মডেলে কাজ শুরু করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে জানান এক রেলওয়ে আধিকারিক। তাছাড়া বেসরকারি সংস্থার থেকে বিনিয়োগ হলে বেশ কিছু সম্পদ সামাজিক ও কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মুক্ত হবে ও ব্যবহার করা যাবে।
একাধিক মন্ত্রকের সাথে আলোচনার পর পাবলিক-প্রাইভেট মডেলে শিফট করার প্রস্তাবনা রাখা হয়। যদিও পিপিপি মডেলের প্রস্তাবনা এলেও এখনও সেটা কার্যকর হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই এর বাস্তবায়ন হবে।
বিরাট বিনিয়োগের সম্ভাবনা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে
যেমনটা জানা যাচ্ছে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বড়সড় বিনিয়োগ হতে পারে রেল খাতে। বাজেটে ২.৬২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হতে পারে রেলের জন্য। সেক্ষেত্রে একাধিক প্রজেক্টের কাজে গতি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসাথে পিপিপি মডেলে নতুন কমার্শিয়াল লাইন তৈরী হবে।
তিনটি নতুন করিডোর পোগ্রাম
বর্তমানে রেলের যে তিনটি মূল করিডোর রয়েছে তা হল কয়লা, মিনারেল ও সিমেন্ট। এই তিন শিল্পের মালপত্র পরিবহণ থেকে আয় করলেও পণ্য পরিবহণের গতি অনেকটাই শ্লথ। তাই মালগাড়ির জন্য আলাদা করিডোর তৈরী করে ট্রাফিক জ্যাম কমানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। ২০৩১ সাল পর্যন্ত এই তিন করিডোরের জন্য রেলের বরাদ্দ ৫.২৫ লক্ষ কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পোর্ট ও রেলের যোগাযোগ উন্নত করতে ১১৪টি মত প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে যার আনুমানিক খরচ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৯টি প্রজেক্ট ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে যার দরুন ২৬,৩৮৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাকি ৬৫টি প্রজেক্টের কাজ চলছে।