সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor Revolution) খাতে ভারতে এবার বিপ্লব ঘটতে চলেছে! টাটা ইলেকট্রনিক্সের হাত ধরে ভারতের মাটিতে প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। আর তারই অংশ হিসেবে গুজরাট সরকার ধোলেরা’তে তৈরি করছে বিরাট আবাসন ব্যবস্থা। বলে দিই, স্বর্গীয় রতন টাটার স্বপ্ন ছিল ভারতে সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপন করা। এবার সেই স্বপ্নই পূরণ হতে চলেছে।
জানা গেল, সেখানে 1500 রেসিডেন্টিয়াল ইউনিট থাকবে, যা টাটা গ্রুপের কর্মী ও তাদের সরবরাহকারী সংস্থাগুলির জন্যই। এমনকি এই প্রকল্পের জন্য মোট বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে 91,000 কোটি টাকা, যা প্রযুক্তির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের জন্য বিরাট ভূমিকা রাখবে।
ধোলেরা’তে তৈরি হচ্ছে বিরাট আবাসন
সম্প্রতি গুজরাট সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান সচিব মোনা খান্ধার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে 275টি অ্যাপার্টমেন্ট রেডি। এর মধ্যে 250টি টাটা গ্রুপ এবং তাদের ভেন্ডররা ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি 225টি ইউনিট প্রায় তৈরি।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আরও 1000টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে। আর যেগুলো 2026 সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি এখানে 1টি, 2টি এবং 3টি বেডরুমের বিকল্পও রয়েছে।
কে বানাচ্ছে এই বিরাট ফ্ল্যাট?
বলে রাখি, সরাসরি সরকারের আবাসন না হলেও এক স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল (SPV)-র মাধ্যমে বেসরকারি ডেভলপারদের জমি লিজ দিয়ে এই ফ্ল্যাট বানানো হচ্ছে। পাশাপাশি টাটা গ্রুপের তরফ থেকেও 10 একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে তারা নিজেদের জন্য 530টি অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করবে। আর সেগুলি 2027 সালের মধ্যেই তৈরি করা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ নয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের! OBC মামলায় বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার
হবে কর্মসংস্থানের নয়া সুযোগ
এই ফ্যাব্রিকেশন ইউনিট চালু হলে শুধুমাত্র সরকার উপকৃত হবে না, বরং পরোক্ষভাবে 20 হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে। ইতিমধ্যে একাধিক টেকনিক্যাল অপারেশন টিম ধোলেরা’তে পৌঁছে গিয়েছে এবং নতুন আবাসনে থাকতেও শুরু করে দিয়েছে। জানা গেল, 2026 সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই এখানে চিপ উৎপাদন শুরু হবে। হ্যাঁ, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বলে রাখি, শুধুমাত্র ফ্ল্যাট নয়, বরং গুজরাট সরকার ধোলেরা’কে বিশ্বমানের আবাসনে পরিণত করতে চায়। আর এরই অংশ হিসেবে এবার তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সব স্কুল, হাসপাতাল, ফায়ার স্টেশন, আধুনিক হোটেল এবং প্রিমিয়াম শপিং মল। সবথেকে বড় আকর্ষণ Global Tent City, যেখানে থাকবে তাইওয়ান, কোরিয়া, জাপান, আমেরিকা, ইউরোপের মতো বিভিন্ন দেশের খাবার ও সংস্কৃতি।