সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সোজা সাপটা বার্তা—জল নিয়ে আর কোনো ছাড় নেই! হ্যাঁ, সিন্ধু জল চুক্তি কার্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতের তরফ থেকে। এবার সেই আবহে জম্মু-কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা তুলবুল নেভিগেশন প্রকল্প (Tulbul Navigation Project) চালু করল ভারত সরকার।
আর এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানকে আরও বিপাকে ফেলেছে। কারণ, যে জলাধারকে তারা নিজেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে দাবি করে এসেছে, সেই প্রকল্পেই এবার জোর দিচ্ছে দিল্লি। শুধু তুলবুল নয়, বরং পশ্চিম দিকের নদীগুলিও এবার আরও চারটি হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে।
কী বললেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী?
এদিন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সি. আর. পাটিল বলেছেন, পাকিস্তানের নেতারা যতই চিৎকার করুক না কেন, ভারত নিজের জল নিজেই ব্যবহার করবে। দেশের জনগণের স্বার্থে আমরা আর কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকব না। পাকিস্তানের হুমকিতে ভয় পেয়ে জল দেওয়ার দিন অতীত।
এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ভারত যদি জল আটকে রেখে দেয়, তাহলে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। তার পাল্টা জবাব হিসেবে ভারত কূটনৈতিক প্রকল্পগুলির দিকেই এখন জোর দিচ্ছে।
অবশেষে শুরু হল তুলবুল নেভিগেশন প্রকল্প
জানিয়ে রাখি, 1984 সালে প্রথমবার জন্মু কাশ্মীরের তুলবুল নেভিগেশন প্রকল্প শুরু হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের আপত্তিতে তা বন্ধ হয়ে যায়। আর দীর্ঘ 40 বছর পর এবার সেই কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ন্যাশনাল হাইড্রোলিক পাওয়ার কর্পোরেশন ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির কাজই শুরু করে দিয়েছে।
তবে পাকিস্তান দাবি করছে, উলার ব্যারেজ বা তুলবুল প্রকল্প শুধু একটি জলাধার, যেখানে প্রায় 0.3 মিলিয়ন একর ফুট জল জমা রাখা যাবে। আর সেটি সিন্ধু জলচুক্তির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তবে ভারত সরকারের পাল্টা বক্তব্য, এটি কোনোরকম জলাধার নয়, বরং নেভিগেশন সুবিধা। উলার ব্যারেজে প্রাকৃতিকভাবে জল জমে এবং এই ব্যারেজটি শুধুমাত্র শীতকালে জল প্রবাহে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুনঃ UAE-র নামে ভারতে পণ্য পরিবহন, খোঁজ পেয়েই পাকিস্তানের বিপুল টাকার পণ্য বাজেয়াপ্ত
রয়েছে আরও চার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা
তবে শুধু তুলবুল প্রকল্প নয়, বরং কিষানগঙ্গা প্রকল্প ইতিমধ্যেই গুরেজ ভ্যালিতে সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি চেনাব নদীর উপর রাটলে হাইড্রো প্রকল্প দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। তবে পাকিস্তান এই সমস্ত প্রকল্প নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বিশ্বব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপও নিয়েছে। যদিও বিষয়টি এখন নিউট্রাল এক্সপার্ট মিশেল লিনোর অধীনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |