বাতিলের পথে ৬৯,০০০ শিক্ষকের চাকরি? হাইকোর্টের নির্দেশে ফাঁপরে রাজ্য

Published on:

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ ফের একবার প্রশ্নের মুখে কয়েক হাজার চাকরি। হাইকোর্টে তরফে এমন একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যার পরে রীতিমতো রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে প্রায় ৬৯ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাদের। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। রীতিমতো এখন বিশ বাঁও জলে রয়েছে ৬৯ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি বলে জানা যাচ্ছে। ফের একবার কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগে  দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারণে হাইকোর্টের তরফে নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করতে বলা হলো।

প্রশ্নের মুখে প্রায় ৬৯, ০০০ চাকরি

WhatsApp Community Join Now

নতুন করে রাজ্যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রায় ৬৯,০০০ শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি। ইতিমধ্যে বাংলায় প্রাথমিক নিয়োগে প্রায় প্রশ্নের মুখে রয়েছে প্রায় ২৬,০০০ চাকরি। এই নিয়ে দফায় দফায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানিও চলছে। সেই সঙ্গে এসএসসির তরফে অযোগ্য এবং যোগ্যদের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই তালিকা দেখে রীতিমতো সকলেরই চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে।  তবে এসবের মাঝেই ফের একবার উঠল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে আর কোনও দেরি না করে নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হল। আর এই নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ কোর্ট।

বড় নির্দেশ আদালতের

উত্তরপ্রদেশে ৬৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ কেলেঙ্কারির মামলা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল, যার মধ্যে এখন লখনউ হাইকোর্টের ডবল বেঞ্চের তরফে আসলে শিক্ষক নিয়োগে ১৯ হাজার আসনে সংরক্ষণ কেলেঙ্কারি বলে প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগের পূর্ণাঙ্গ তালিকা বাতিল করেছে হাইকোর্ট। ১৯৮১ সালের রিজার্ভেশন রুলস এবং ১৯৯৪ সালের রিজার্ভেশন রুলস অনুসরণ করে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে লখনউ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চও স্বীকার করেছিল, ৬৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগে ১৯ হাজার আসনে সংরক্ষণ কেলেঙ্কারি হয়েছে।

এক্ষেত্রে সংরক্ষণ প্রার্থীরা জানিয়েছেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কেলেঙ্কারি করা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাঁরা বলছেন, ‘আমাদের ন্যায়বিচার দিতে হবে এবং যেসব প্রার্থী অবৈধভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।’

অখিলেশ যাদবের আমলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি?

গোটা বিষয়টি জানতে কয়েক বছর পিছনে ফিরে যেতে হবে। আসলে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সরকারে এক লক্ষ ৩৭ হাজার  সহকারী শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল, যার পরে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছায় এবং তারপরে আদালত সরকারের সেই সমন্বয় বাতিল করে দেয়। এর পর যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাইকোর্ট তাদের এক লক্ষ ৩৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব দেয়। এরপরই আদালতে নিজেদের পক্ষ রেখে যোগী সরকার জানিয়ে দেয়, এত আসনে একসঙ্গে নিয়োগ করা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট দু’দফায় এই নিয়োগ করতে বলে, যার পরে যোগী সরকার ২০১৮ সালে ৬৮,৫০০ পদে শূন্যপদ জারি করে।

বাতিলের মুখে কয়েক হাজার চাকরি?

চাকরি প্রার্থীরা জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম দফায় ২২ হাজারের বেশি পদ শূন্য থাকায় সেইসময় কোনও সমস্যা হয়নি। তারপরে পরে সরকার দ্বিতীয় দফায় ৬৯ হাজার পদে পুনরায় নিয়োগের ঘোষণা করে, যার জন্য ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পরীক্ষা হয়েছিল এবং তারপরে কাটঅফ অনুসারে অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এরপরও সেখানেই আসল সমস্যার সৃষ্টি হয়।  প্রার্থীদের দাবি, ৬৯ হাজার নিয়োগের মধ্যে ওবিসি ২৭ শতাংশের পরিবর্তে মাত্র ৩.৮৬ শতাংশ সংরক্ষণ পেয়েছে এবং এসসি ক্যাটাগরিতে ২১ শতাংশের পরিবর্তে ১৬.৬ শতাংশ সংরক্ষণ পেয়েছে। প্রার্থীরা জানান, এই নিয়োগে ১৯ হাজার আসনে কেলেঙ্কারি হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥