প্রীতি পোদ্দার, ভোপাল: ধর্ম এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় নিয়ে এর আগে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এমনও দেখা গিয়েছে যে এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে নানা দ্বন্দ্ব ও ঝামেলা হয়েছে। আর এই আবহে ফের ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্য করে বসলেন আইএএস অফিসার নিয়াজ খান (IAS Officer Niaz Khan)।
ঘটনাটি কী?
মধ্যপ্রদেশের IAS অফিসার নিয়াজ খান সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিস্ফোরক পোস্ট করেন। তিনি সেই পোস্টে জানিয়েছেন যে ইসলাম একটি আরবি ধর্ম এবং ভারতের সবাই হিন্দু ধর্মের মানুষ। মানুষ হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছে। তাই তিনি সকল মুসলমানদের কাছে আবেদন করেছেন যে, যারা আরবি সংস্কৃতিকে আদর্শ বলে মনে করছেন তাঁরা যেন এই বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করে। আর এই মন্তব্যকে ঘিরে এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্মান্তরিত নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়াজ খানের
শেষ পর্যন্ত IAS অফিসার নিয়াজ খান তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা ANI এর কাছে এক স্পষ্ট মন্তব্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, “ খবরের শিরোনামে বারবার উঠে আসে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কিত সংবাদ। আর তাই ভাবলাম আমরা কেন একে অপরের সাথে লড়াই করি, সকলের উৎপত্তি তো একই।” এরপরেই তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়ে নানা মতামত প্রেরণ করেন। তিনি বলেন “এটা শুরু থেকেই হিন্দু জাতি; বিদেশী শাসকরা এসেছিল, ধর্মান্তরিত হয়েছিল তারপর খ্রিস্টান, ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের প্রসার ঘটেছে। আমরা সবাই ভাই। মাত্র ১-২ শতাংশ মানুষ হয়তো আরব থেকে এখানে বসতি স্থাপন করেছিল, অন্যথায় বেশিরভাগ মানুষই ভারতীয় বংশোদ্ভূত।”
এখানেই থেমে থাকেননি IAS অফিসার নিয়াজ খান। তিনি আরো বলেন যে “সকলেই সনাতন ধর্মের অংশ এবং পরে লোকেরা সনাতন ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। যদিও প্রতিটি ধর্মেরই নিজস্ব গুরুত্ব আছে। তবে পরীক্ষাগারে যদি আমার জিন পরীক্ষা করে তখন এটি আরব দেশগুলির সাথে মিলবে না, শুধুমাত্র এটি ভারতের সাথে মিলবে। প্রত্যেকেই হিন্দু ধর্ম থেকে উদ্ভূত, অন্যান্য ধর্মের ৯০ জনেরও বেশি মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছে।” শেষে তিনি আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে সংবিধানের সীমার মধ্যেই তিনি তাঁর চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন। যদি কেউ তার চিন্তাভাবনার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন, তাহলে তিনি সাংবিধানিকভাবে তা প্রকাশ করতে পারেন। এতে কারোর কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।