যত সময় এগোচ্ছে সবদিক থেকে ততই ভারত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ভারতীয় রেল, প্রতিরক্ষা খাত থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা, এখন ভারত গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে একের পর এক কাজ করেই চলেছে। তবে এখানেই শেষ নয়, মহাকাশ গবেষণায় ভারত এবার এমন কিছু করতে চলেছে যা হয়তো বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম হবে। আর ভারতকে বিশ্বের মধ্যে সবার থেকে আলাদা করতে নতুন কিছু করতে চলেছে ইসরো।
ইসরোর বড় পদক্ষেপ
আগামী কিছু সময়ের মধ্যে ইসরোর তরফে চন্দ্রযান ৪ লঞ্চ করা হবে। চন্দ্রযান ৩-এর বিশাল সফলতার পর ভারত এবার চন্দ্রযান ৪ নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। ভারত তো বটেই সমগ্র বিশ্ব এখন ভারতের এই মিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি চিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অদেখা অঞ্চল থেকে মাটি ও পাথর নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে চ্যাঙ্গি–৬ মহাকাশযান। আর এই নিয়ে এখন গর্বে মাটিতে পা পরছে না সেই দেশের। কিন্তু এসবের মাঝেই চন্দ্রযান ৪ নিয়ে এবার বড় আপডেট দিল ইসরো, যা শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও।
চন্দ্রযান ৪ নিয়ে বড় ঘোষণা ISRO-র
চন্দ্রযান ৪ নিয়ে বড় ঘোষণা করেছে ISRO। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বুধবার জানান, চাঁদ থেকে মাটির নমুনা ফিরিয়ে আনার জন্যই তৈরি করা হয়েছে চন্দ্রযান-৪। তবে এবারে একবারে নয়, দুটি ভিন্ন রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এটিকে কক্ষপথে পাঠানো হবে। তারপর মহাকাশে এই দুটি অংশ যুক্ত করে চন্দ্রযান-৪ সম্পূর্ণ করা হবে এবং তারপরেই এটি চাঁদের দিকে পাঠানো হবে। প্রথম ক্ষেত্রে কাজে লাগবে LVM-3 এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে PSLV। মহাকাশের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম হবে। শুধু তাই নয়, দেশের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরিতেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, অর্থাৎ এর যন্ত্রাংশ একবারে নয়, বহুবার পাঠানো হবে। সেসব যন্ত্রাংশ মহাকাশে যুক্ত করে স্পেস স্টেশন তৈরি করা হবে। দেশের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনের নাম হবে ভারত স্পেস স্টেশন।
এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৪ এতটাই ভারী হবে যে ইসরোর কাছে থাকা অন্য কোনও রকেটের একসঙ্গে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মহাকাশের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করে অতীতে স্পেস স্টেশন এবং অন্যান্য জিনিস তৈরি করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চন্দ্রযান-৪ হবে বিশ্বের প্রথম এমন যান যা অনেক অংশে উৎক্ষেপণ করা হবে।
কবে লঞ্চ হবে চন্দ্রযান ৪
সকল ভারতবাসীর প্রশ্ন, কবে লঞ্চ হবে এই চন্দ্রযান ৪? সূত্রের খবর, আগামী ২০২৮ সাল নাগাদ ভারতের চতুর্থ চন্দ্রাভিযান উৎক্ষেপণ করা হতে পারে ইসরোর তরফে।