কলকাতাঃ ISRO তথা সমগ্র ভারাতের মুকুটে নয়া পালক জুড়ল। আর ভারতকে এই নয়া সাফল্য দেওয়ার পিছনে বড় অবদান আর অন্য কারোর নয়, Aditya L1-এর রয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। মহাকাশে নানান অজানা লড়াই, বাধার সম্মুখীন হয়েও নিজের লক্ষ্য থেকে এক চুলও নড়েনি ইসরোর পাঠানো এই মহাকাশযান। ভারতবাসী হয়ে কি আপনিও জানতে ইচ্ছুক যে মিশন সূর্যের উদ্দেশ্যে ইসরোর পাঠানো এই আদিত্য এল ১ কী করেছে? তাহলে বিশদে জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই লেখাটি।
নতুন নজির Aditya L1-এর
টানা ১৭৮ দিনের লড়াইয়ের পর নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে এই Aditya L1। ISRO জানিয়েছে, ভারতের প্রথম সৌর মিশন ‘আদিত্য এল ১’ মহাকাশযান সূর্য ও পৃথিবীর এল ১ বিন্দুর চারপাশে প্রথম হ্যালো কক্ষপথের কক্ষপথ সম্পন্ন করেছে। পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে লাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১ এর দূরত্ব ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। এখানেই আদিত্য এল -১ অবস্থান করছে এবং সূর্যের ক্রিয়াকলাপগুলি প্রতিনিয়ত ট্র্যাক করছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর আদিত্য এল ১ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি এটি এল১ পয়েন্টের হ্যালো কক্ষপথে প্রবেশ করে।
বড় তথ্য দিল ISRO
ইসরো জানিয়েছে, হ্যালো কক্ষপথে থাকা আদিত্য এল-১ মহাকাশযানের এল-১ পয়েন্টের চারপাশে একবার ঘুরতে সময় লাগিয়েছে ১৭৮ দিন মতো। ইসরো জানিয়েছে, হ্যালো কক্ষপথে ঘোরাঘুরি করার সময় আদিত্য এল-১ অনেকগুলি শক্তির সংস্পর্শে আসে, যার কারণে এটি কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই কক্ষপথ ধরে রাখতে আদিত্য-এল১-কে ২২ ফেব্রুয়ারি ও ৭ জুন দু’বার রুট বদলাতে হয়েছিল। মঙ্গলবার তৃতীয়বারের মতো এটিও করা হয়েছিল যাতে মহাকাশযানটি এল ১-এর আশেপাশে দ্বিতীয় হ্যালো কক্ষপথে ঢুকতে পারে।
Aditya L1- এর উদ্দেশ্য
এখন নতুন করে সকলের মনে একটা প্রশ্ন চাগার দিয়েছে, আর সেটা হল আদিত্য এল ১-এর উদ্দেশ্যটা আসলে কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, মিশনের উদ্দেশ্য সূর্যের ফটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা অধ্যয়ন করা। এটি ভারতের প্রথম মহাকাশ-ভিত্তিক মানমন্দির। করোনাল মাস ইজেকশন, সোলার ফ্লেয়ারের মতো রোদে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির উপর আদিত্যর বিশেষ নজর রয়েছে।