পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঠিকই রকম তা সকলেই জানেন। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক যখন দিনদিন তলানিতে ঠেকছে তখনই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর তরফ থেকে মিলল বড় খবর। মেট্রো চেপেই যাওয়া যেতে পারে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন। ঠিক কি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কলকাতা থেকে মেট্রোতেই বাংলাদেশ?
গত শুক্রবার এসএসবি-এর রেইজিং ডে উপলক্ষে শিলিগুড়িতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ আরও একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। এদিন পেট্রাপোলে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য তৈরী আধুনিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়। যেটা বানাতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
এদিন পেট্রাপোলের উন্নতি নিয়ে একঝাঁক পরিকল্পনার কথা জানান শান্তনু ঠাকুর। সেই সময়েই তিনি জানান, ‘আগামীদিনে বিরাট সীমান্ত শহর হতে চলেছে পেট্রাপোল। পেট্রাপোল থেকে বাগদা পর্যন্ত রেল স্টেশন বানাতে চাই। এমনকি চেষ্টা করা হবে যাতে কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রো আনা যায়। বাংলাদেশ থেকে যেভাবে প্রতিনিয়ত লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন তাতে পেট্রাপোলে আরও উন্নত পরিষেবা প্রয়োজন বলে মনে করি।
রেলমন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছেন শান্তনু ঠাকুর
কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্প নিয়ে নাকি রেলমন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানা, ‘আমি রেলমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তবে জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করব আগামী দিনে এই সমস্যা মিটে যাবে তাহলেই প্রান্তিক এলাকার উন্নতি সাধন সম্ভব হবে। তাছাড়া এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার সবচেয়ে কম সময় ও সহজ রুট হয়ে উঠবে পেট্রাপোল’।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়াও এদিন বিএসএফ সেনা জওয়ানদের জন্য তৈরি ভবন সম্পর্কেও বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন। ৩০ কোটি টাকা খরচে তৈরী এই ভবন পেট্রাপোল ল্যান্ড অথরিটির অধীনে রয়েছে। যেখানে মোট ৪টি ভবন আছে, এই বিল্ডিংগুলিতে সমস্ত ধরণের অত্যাধুনিক সুবিধা পাওয়া যাবে। একইসাথে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃত্তম দেশ ভারত, আর অর্থনীতির দিক থেকে পঞ্চম। ভারত বাংলাদেশের পাশে বন্ধু হিসাবেই ছিল আগামীতেও থাকবে। তবে যদি এর অন্যথা হয় তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না।