প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আদালতে ঘটল আজব ঘটনা। বিচার চলাকালীন আদালতে আইনজীবীর (Lawyer) পোশাক না পরেই এবং শার্টের বোতাম ঠিকভাবে না লাগিয়েই হাজির হলেন এক আইনজীবী। আর সেই অপরাধে এবার ছ’মাসের জেল হল অভিযুক্ত আইনজীবীর। বড় রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের।
ঘটনাটি কী?
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম অশোক পাণ্ডে। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে আদালতে অনুপযুক্ত পোশাক পরে আসায় এবং আদালতকে অবমাননা করার ফলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ওঠে। জানা যায় আইনজীবী অশোক পাণ্ডে আদালতে বিচার চলাকালীন যে শার্টটি পড়েছিল সেই শার্টের বেশ কয়েকটি বোতাম খোলা ছিল। নিয়মভঙ্গ করায় তাঁকে বিচারকরা আদালত ছেড়ে চলে যেতে বলেন, তখন তাদের ‘গুণ্ডা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন আইনজীবী অশোক পাণ্ডে। একপ্রস্ত বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অবমাননার মামলা দায়ের করে আদালত।
৬ মাসের কারাদণ্ড আইনজীবির!
বেশ কয়েকবার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও অশোক পাণ্ডে এই অভিযোগের সাপেক্ষে কোনও জবাব দেননি। শেষ পর্যন্ত গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এবং বি আর সিং এর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলাটি। এবং সেই মামলার রায় ঘোষণা করে জানিয়ে দেন যে অশোক পাণ্ডের অতীতের আচরণ, তাঁর কৃত অপরাধ এবং আদালতকে আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা না করার কারণে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, শাস্তিস্বরূপ আইনজীবীকে ২ হাজার টাকার জরিমানাও ধার্য করেছে আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এই জরিমানার টাকা জমা না দিলে আইনজীবীকে আরও এক মাসের কারাদণ্ড অতিরিক্ত ভোগ করতে হবে।
আদালতের তরফে শো কজ নোটিস!
অন্যদিকে অভিযুক্ত আইনজীবী অশোক পান্ডেকে লখনউয়ের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আত্মসমর্পণের জন্য ১ মাস অর্থাৎ চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে আদালত একটি শো কজ নোটিসও জারি করেছে। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন অশোককে এলাহাবাদ হাই কোর্ট এবং লখনউ বেঞ্চে আইন অনুশীলন থেকে নিষিদ্ধ করা হবে না। আর এই প্রশ্নের জবাব অশোককে আগামী ১ মে-র মধ্যে জানাতে হবে বলে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হনুমান জয়ন্তীতে অনেকটাই বাড়ল সোনার দাম, পকেটে চাপ বাড়াচ্ছে রুপোও! আজকের রেট
এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাব করতে গিয়ে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে জোর ধমক খান এক আইনজীবী। একটি মামলার শুনানি চলার সময় কথ্যভাষা বলার অপরাধে বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। ইংরেজিতে তিনি ‘YES’ শব্দটিকে ছোট করে ‘ইয়া ইয়া’ বলছিলেন। সেই কারণে ওই আইনজীবীর মন্তব্যের প্রতি বেজায় আপত্তি তোলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |