সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গতকাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের (CJI BR Gavai) দিকে জুতা ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন এক আইনজীবী। মুহূর্তের মধ্যে ওই ঘটনা নিয়ে আদালতে ছড়িয়ে পড়েছিল শোরগোল। নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে দ্রুত আটক করেন এবং আদালতের বাইরে বের করে দেন। তবে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ওই আইনজীবী রাকেশ কিশোর। এমনকি তাঁর বক্তব্য যেন ওই ঘটনাকে আরও উস্কে দিয়েছে। কী বললেন তিনি?
সংবাদসংস্থাকে কী বললেন রাকেশ কিশোর?
আজ সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাকেশ কিশোর বলেছেন, আমার কোনওরকম অনুতাপ নেই। আমি যা করেছি আমার হৃদয়ের আঘাত থেকেই করেছি। গত 16 সেপ্টেম্বর আমি প্রধান বিচারপতির কাছে একটি পিআইএল দায়ের করেছিলাম। মূলত খাজুরাহোর জাওরি মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তির মাথা পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছিলাম আমি ওখানে। তবে বিচারপতি গাভাই হেসে বলে দিয়েছিলেন, মূর্তির মাথা ফেরাতে হলে আগে মূর্তির কাছে প্রার্থনা করতে হবে। আর এই মন্তব্যেই আমি ক্ষুব্ধ হই। তিনি দাবি করছেন, সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ে বারবার সনাতন ধর্মকে আঘাত করা হচ্ছে।
রাকেশ কিশোর বলেছেন, রেলওয়ের জমি দখল মামলায় হালদওয়ানিতে উচ্ছেদ আটকানোর জন্য আদালত তিন বছর আগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। নুপুর শর্মা ওই মামলায় আদালতে বলেছিল যে, আপনি দেশের পরিবেশ নষ্ট করছেন। এমনকি জল্লিকাট্টু বা দই-হান্ডির উচ্চতা নিয়েও আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। আর এই সমস্ত রায়ের প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে, যেন আদালত সব সময় সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে।
#WATCH | Delhi: Suspended Advocate Rakesh Kishore, who attempted to hurl an object at CJI BR Gavai, says, “…I was hurt…I was not inebriated, this was my reaction to his action…I am not fearful. I don’t regret what happened.”
“A PIL was filed in the Court of CJI on 16th… pic.twitter.com/6h4S47NxMd
— ANI (@ANI) October 7, 2025
এমনকি তিনি আরও যোগ করেছেন, আপনি যদি সমর্থনও না করেন, তাহলে অন্তত উপহাস করবেন না। আমি সহিংসতাকেই সমর্থন করি। তবে আপনি একবার ভাবুন তো, কোনও সাধারণ মানুষ যার কোনও সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, সে এমনটা কেন করবে? আমি নেশাগ্রস্থ অবস্থাতেও ছিলাম না। আমি শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতির আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে এরকম কাজ করেছি। আমার কোনও ভয় নেই, অনুতাপও নেই। আমি কিছু করিনি, আমাকে ঈশ্বর করিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ, নিজের দেশেই বোমা ফেলে!’ UN-এ পাকিস্তানের মুখোশ খুলল ভারত
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। রাকেশ কিশোর বলেছেন, সিজিআই সংবিধানের আসনে বসেন। তাঁকে ‘মাই লর্ড’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এর মানে তাঁর বোঝা উচিত। যারা বেআইনি দখলদার, তাদের বিরুদ্ধে যোগীর রাজ্যে বুলডোজার অভিযানে কি তাহলে ভুল ছিল? এমনকি তিনি আরও যোগ করেছেন, দেশের আদালত কখনও কখনও ন্যায়ের সীমা ছাড়িয়ে ধর্মকে আঘাত করে। ধর্মীয় মর্যাদাকে ছোট করার চেষ্টা করছে। বছরের পর বছর ধরে আমি সহ্য করে আসছি। ছোট সম্প্রদায়ের কাছে আমরা মাথা নত করছি। কিন্তু আর নয়। কোনও সনাতনি যেন আর ঘরে বসে না থাকে। আমি উস্কানি দিচ্ছি না, বরং নিজেদের স্বার্থে কাজ করতে হবে।