সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গত 22 এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের পাহাড়ি আবহাওয়ায় যেন হঠাৎ করে শোক নেমে এসেছিল। ধর্ম জিজ্ঞাসা করে পর্যটকদের উপর নৃশংসভাবে গুলি চালিয়েছিল পাক মদদপুষ্ট জঙ্গিরা। সন্ত্রাসের আগুনে যেন গোটা দেশের হঠাৎ করে টনক নড়ে গিয়েছিল। আর ঠিক তার 15 দিন পর সেই আঘাতের যোগ্য জবাব দিতে ভারত চালিয়েছে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন সেনাপ্রধান মনোজ নারাভানের মাত্র চারটি শব্দ দেশবাসীর টনককে আরও নাড়িয়ে দিয়েছে – “পিকচার আভি বাকি হ্যায়।”
অপারেশন সিঁদুরে কী ঘটেছে?
গত মঙ্গলবার রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। সূত্রের খবর, এই অভিযানে প্রায় 90 জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এবং ধ্বংস হয়েছে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি সংগঠনের মূল ঘাঁটি। এমনকি হাফিজ সৈয়দ ও মাসুদ আজহার নামের কুখ্যাত দুই জঙ্গি নেতা নাকি অভিযানে নিহত হয়েছেন।
নারাভানের চার শব্দতেই বিস্ফোরণ
এই বিরাট হামলার পর প্রাক্তন সেনাপ্রধান মনোজ নারাভানের তার এক্স-হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “Picture abhi baaki hai”। আর এই ছোট একটি বার্তাই যেন আগুনে আরও ঘি ঢেলে দিয়েছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, তবে কি শুধু এটা শুরু? ভারত কি এখনও পাল্টা কোনও পদক্ষেপ নেবে? অনেকে এমনও বলছেন যে, নারাভানের মতো দায়িত্বশীল প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার মুখে এই কথা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।
আরও পড়ুনঃ ‘তারিখ পে তারিখ’, ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল DA মামলা! পরবর্তী শুনানি কবে?
এদিকে ভারতের এই কড়া জবাবে টালমাটাল অবস্থা পাকিস্তানের। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শুরু হয়েছে গুলিবর্ষণ। যার জেরে এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের 10 জন সাধারণ নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন। পাক সেনার এই আচরণে সীমান্ত অঞ্চলে এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতও কড়া নজরদারি রাখছে। এখন যেকোনও মুহূর্তে পাল্টা পদক্ষেপের জন্য সেনারা প্রস্তুত বলেই সূত্র মারফত খবর।
হামলা ছিল শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে?
তবে এই হামলার পর ভারতীয় সেনা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের কোনও সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়নি। বরং লক্ষ্য ছিল, শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটি। কোনও নিরীহ নাগরিক এই অভিযানে হতাহত হয়নি। আর এই বিবৃতি স্পষ্ট করছে যে, ভারতের লক্ষ্য শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীর মূল ঘাঁটিকে উচ্ছেদ করাই ছিল। কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করা নয়।