প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: দেশবাসীর স্বার্থে এবং জনগণের মঙ্গল কামনায় কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক প্রকল্প চালু করে এসেছে। ঠিক তেমনি ২০১৪ সালে তৎকালীন NDA সরকার কোটি কোটি ভারতীয়কে আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য এক নয়া প্রকল্প চালু করেছিল। আর সেই প্রকল্প হল প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা (PM Jandhan Yojana)। এই স্কিমের অধীনে, যে কোনও ব্যাঙ্কের শাখা বা বিজনেস করেসপন্ডেন্ট আউটলেটে একটি বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। কিন্তু এবার সেই প্রকল্প থেকেই এক বিস্ফারিত তথ্য উঠে এল।
প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা নিতে বড় আপডেট
জনধন যোজনা দেখতে দেখতে ১০ বছর পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বরাবর মোদি সরকার এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে বড়াই করে আসছে। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির দাবি করেছিল যে এই প্রকল্পে নিম্নবিত্ত মানুষদের বড় অংশ এই অ্যাকাউন্ট খুলে, ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় এসেছে। কিন্তু এই আবহে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যসভার সংসদে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা প্রকল্পের প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দল গুলির মধ্যে নানা ধরনের মন্তব্য করা হয়। এ দিন রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার আওতায় এখনও পর্যন্ত খোলা হয়েছে ৫৪.০৩ কোটি অ্যাকাউন্ট। তার মধ্যে ১১.৩০ কোটি অ্যাকাউন্টে কোনও লেনদেন হচ্ছে না। আর সেই সব নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে ১৪,৭৫০ কোটি টাকা।
নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়ছে
ব্যাঙ্কিং নিয়ম অনুযায়ী কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যদি টানা দু’বছর লেনদেন না হয় তাহলে সেটিকে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বলে ধরা হয়। এদিকে এই প্রকল্পের আওতায় এতগুলি অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে এবং এত টাকা অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে যে এই বিষয়ে একের পর এক প্রশ্ন থাকছেই। যদিও সরকারি মহলের দাবি, শতাংশের হিসেবে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট আগের থেকে নাকি অনেকটাই কমেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ২০১৭-র মার্চে তা ছিল ৩৯.৬২%। গত মাসে হয়েছে ২০.৯১%।
পঙ্কজের দাবি করছেন যে ব্যাঙ্কগুলি এই ধরনের অ্যাকাউন্টে নিয়মিত নজরদারি চালায় এবং বিষয়টিতে নজর রাখে সরকারও। কেন্দ্র আগেই ব্যাঙ্কগুলিকে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমাতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। এবং বলা হয়েছে যে কোনও সময়ে কেওয়াইসি জমা দিয়ে নিখরচায় এই ধরনের অ্যাকাউন্ট ফের চালু করা যায়।