১ বছর ধরে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ, স্ত্রী প্রতিবাদ করায় তিন তালাক! যোগীরাজ্যে ঘৃণ্য অপরাধ

Published on:

বিজনোরঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে ভারতের বাইরেও শুরু হয়েছে আন্দোলন। তরুণীর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সামনে আসার পর বিষয়টিকে গণধর্ষণের তকমা দিয়েছে জনগণ। একইসঙ্গে কর্মরত চিকিৎসকদের সুরক্ষা, কর্মস্থলে মহিলাদের সুরক্ষা এবং রাতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও জোড়াল দাবি তুলছেন মানুষজন। কিন্তু ধর্ষনের ঘটনা যদি বাড়ির অন্দরেই ঘটে? যদি এক বছর ধরে কোনও নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়? যদি বাবা নিজেই তাঁর মেয়ের ধর্ষক হয়? শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনই ঘৃণ্য এক ঘটনা ঘটেছে এক বছরের বেশি সময় ধরে, যেখানে বাবা নিজেই মেয়েকে ধর্ষণ করে গেছেন দিনের পর দিন।

WhatsApp Community Join Now

শনিবার পুলিশ এক ব্যক্তিকে তার নাবালিকা মেয়েকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বিজনোর শহরে। অভিযোগ, এক বছরের মধ্যে সে তাঁর ১৭ বছরের নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। শুক্রবার মেয়ের মা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে গোটা এলাকা।

মেয়ের ধর্ষক খোদ জন্মদাতা বাবা

এলাকার সার্কেল অফিসার অঞ্জনি কুমার চতুর্বেদী এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন। সূত্রের খবর, অভিযুক্তর স্ত্রী যখন তাঁর স্বামীর এই কুকীর্তি, অর্থাৎ মেয়ের যৌন নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারেন, তখন তিনি প্রতিবাদ করতে উদ্যত হন। কিন্তু সেই সময় নাকি অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রীয়ের উপর চড়াও হয়ে তিন তালাক দেয়। এরপর অভিযুক্তর স্ত্রী অর্থাৎ নির্যাতিতা নাবালিকার মা পুলিশের কাছে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। শনিবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পকসো আইনের আওতায় বিচার হবে অভিযুক্ত বাবার

জানা গেছে, ধৃত বাবার বিরুদ্ধে বিএনএস এবং শিশু যৌন অপরাধ প্রতিরোধ বা পকসো আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে। এটা প্রকাশ্যে এসেছে যে অভিযুক্তের স্ত্রী ২ সপ্তাহ আগে তার নাবালিকা মেয়ের উপর যৌন নির্যাতনের কথা জানতে পেরেছিলেন। নির্যাতিতা তাঁর মাকে জঘন্য অপরাধের কথা বলেছিল। গ্রেফতারের আগে চুলে তেল দেওয়ার অজুহাতে মেয়েকে ধর্ষণ করে আসামি, এমন অভিযোগও শোনা গিয়েছে। এমনকি অভিযুক্ত বাবা খুনের হুমকি দিয়ে মেয়েকে চুপ করে রেখেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। এখন এটাই দেখার যে ওই নাবালিকা নির্যাতিতা বিচার পায় কিনা।

সঙ্গে থাকুন ➥