বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মণিপুর সফর সেরে অসমের মাটিতে পা রেখেই কংগ্রেসকে সরাসরি নিশানা করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অসমের এক জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বললেন, কংগ্রেস দেশের সেনাকে সমর্থন করার বদলে, পাকিস্তানি জঙ্গিদের সমর্থন করে। এই কংগ্রেসের আশকারা পেয়েই ফুলেফেঁপে উঠেছে সন্ত্রাসীরা! এরাই অনুপ্রবেশকারীদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক কথায়, হাত শিবিরকে দেশদ্রোহী বলে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi On Congress)।
সন্ত্রাসবাদী এবং অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করছে কংগ্রেস?
রবিবার অসম সফরে গিয়েই সে রাজ্যের দারং জেলার এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়েই মোদিকে বলতে শোনা যায়, বিজেপি প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রবেশকারীদের জমি দখল এবং জনবিন্যাস নষ্ট করার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে সচেষ্ট। এদিকে কংগ্রেস অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেছে। এরা ভারতের সৈনিকদের সমর্থন করবে কী, উল্টে সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
এরপরই অসাম জুড়ে অনুপ্রবেশকারীদের দাপাদাপি ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, অবৈধভাবে যারা জমি দখল করে রেখেছে, যারা চোরাপথে দেশে ঢোকার চেষ্টা করছে অর্থাৎ সেইসব অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো এবং ভূখণ্ডে কৃষকদের চাষবাসের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার এই পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য এবং প্রশংসনীয়। এখানেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মোদি বলেন, দীর্ঘ কয়েক দশক অসম শাসন করেছে কংগ্রেস। এতদিনে তারা ব্রহ্মপুত্র নদীতে মাত্র তিনটি ব্রিজ তৈরি করেছে। অন্যদিকে বিজেপি সরকার আসার পর গত 10 বছরে এমন 6টি ব্রিজ তৈরি হয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সংযোজন ছিল, ভারত বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। তবে ভারতের এই সাফল্যে 13 শতাংশ যোগদান রয়েছে অসমের। আর এটা সম্ভব হয়েছে ডবল ইঞ্জিন সরকারের হাত ধরে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিকশিত ভারতের যে স্বপ্ন দেখছি তাতে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বড় ভূমিকা রয়েছে, তা অস্বীকার করা যায় না।
অবশ্যই পড়ুন: চিনের উপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপাতে NATO দেশগুলির কাছে আর্জি! ট্রাম্পের পরিকল্পনার জবাব দিল চিন
নির্বাচনকে সামনে রেখেই কংগ্রেসকে ঠুকলেন মোদি?
বাংলার পাশাপাশি আগামী বছর অসমও বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই রাজ্যটিতে বিজেপির মাথা যন্ত্রণার প্রধান কারণ কংগ্রেস। কেননা, বাংলার পড়শি রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী দল এআইইউডিএফ এবার দুর্বল হয়ে পড়েছে। এদিকে অসমের 40 শতাংশ মুসলিম ভোট। যা বিজেপির ঝুলিতে যাবে না বলাই যায়… ফলত, এক্ষেত্রে কংগ্রেসের খাতায় এক্সট্রা পয়েন্ট যোগ হতে পারে। আর সেটাই এখন গেরুয়া শিবিরের চিন্তার কারণ। তাই গোটা অসমের হিন্দু ভোটারদের এক করে নিজেদের দিকে টানতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। আর হয়তো সে কারণেই, অসমে পা দিয়েই সর্বপ্রথম কংগ্রেসকে নিশানা করলেন মোদি!