জাপানে পবিত্র দারুমা পুতুল উপহার পেলেন মোদী, জেনে নিন এর বিশেষত্ব

Published on:

Narendra Modi

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিদেশ সফরে গিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এক বিরল বস্তু উপহার পেলেন। হ্যাঁ, জাপান সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপহার পেয়েছেন এক ঐতিহ্যবাহী দারুমা পুতুল! জানা গিয়েছে, শোরিনজান দারুমা-জি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সেইশি হিরোসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই উপহারটি দেন, যা জাপানি সংস্কৃতির এক গভীর বার্তা বহন করে। তবে কী বিশেষত্ব এই দারুমা পুতুলের?

দারুমা আসলে কী?

জানা গিয়েছে, গোলগাল আকৃতির বড় বড় চোখওয়ালা, হাত-পা বিহীন এই পুতুলটিকে জাপানের সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি আর অধ্যাবসায়ের প্রতীক হিসেবেই মানা হয়। দারুমা শব্দটি মূলত বোধিধর্ম গল্পে কথিত রয়েছে। সেখানে বলা আছে, নয় বছর টানা ধ্যান করার পর তাঁর হাত-পা ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, এর পুতুলের আকৃতি এমনভাবে তৈরি করা, যার শুধুমাত্র মাথা ও ধর রয়েছে। এও বলা হয় যে, ধ্যানের সময় ঘুম এড়াতে তিনি নিজের চোখের পাতা ছিড়ে ফেলেছিল। আর সেই কারণেই দারুমার চোখ এত বড় বড়।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

তাহলে কেন লাল দারুমা?

উল্লেখ্য, প্রথাগতভাবে দারুমা লাল রঙের হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, প্রাচীনকালে এশিয়াতে ভয়ংকর গুটিবসন্ত ছড়ালে মানুষ লাল রং দিয়েই দেবতার কৃপা প্রার্থনা করত। সেই বিশ্বাস থেকেই লাল রঙের দারুমা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

তবে হ্যাঁ, বর্তমান দিনে বিভিন্ন রঙের দারুমা পাওয়া যায়। প্রতিটি রং-এরই আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। যেমন হলুদ দারুমা সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে বহন করে। সাদা দারুমা ভালবাসা ও মিলন বহন করে। এমনকি প্রতিটি দারুমার নীচে সোনালী অক্ষরে ফুকু-ইরি লেখা থাকে, যার অর্থ ভাগ্য আনা।

প্রসঙ্গত, জাপানের তাকাসাকি শহরেই প্রায় 80 শতাংশ দারুমা পুতুল তৈরি করা হয়। 1700 শতকে স্থানীয় কৃষকরা প্রথমবার কাগজ মাখিয়ে এই পুতুল বানান। দারুমাকে এমনভাবে বানানো হত যে, ফেলে দিলেও আবার তা উঠে দাঁড়ায়। আর এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এক গভীর বার্তা—“সাতবার পড়লেও আটবারের বার উঠে দাঁড়াও।”

আরও পড়ুনঃ ৯ সেপ্টেম্বর হচ্ছে লঞ্চ! ভারতের বাজারে কত দাম হবে iPhone 17 সিরিজের?

উল্লেখ্য, দারুমা শুধুমাত্র সৌভাগ্যের জন্য নয়, বরং ইচ্ছাশক্তি জাগরণেরও মাধ্যম। জাপানি রীতি অনুযায়ী, কেউ যখন নতুন কোনো লক্ষ্য স্থির করে, তখন পুতুলের এক চোখ রঙে ভরিয়ে তোলেন। আর লক্ষ্য পূরণ হলে রং করা হয় অপর চোখে। যদি বছর শেষে লক্ষ্য পূরণ না হয়, তাহলে সেই দারুমা মন্দিরে নিয়ে গিয়ে দারুমা কুইও পূজা করা হয় বা দাহ করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥