কলকাতাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের উপর নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও তাঁকে খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। শুরুতে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে মামলাটি CBI-এর হাতে যায়। এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায় এই ধর্ষণ ও খুনের মামলাটি। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র একজন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত যে এই একজনই, তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। আর সেই কারণে ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার চেয়ে পথে নামছেন মানুষজন।
এই ঘটনার নিন্দা করেছে গোটা সমাজ। সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ, সবাই প্রতিবাদ জানিয়েছে নিজেদের মতো করে। কিন্তু এই ঘৃণ্য ঘটনায় যাঁরা শুরুতে সেভাবে সামনে এসে প্রতিবাদ করেননি, সেইসব বিখ্যাত মানুষদের চরম নিন্দা করেছে সকলে। সেই তালিকায় রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও। তিনি শুরুতে এটিকে বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে দাবি করেছিলেন। তারপর সৌরভকে নিয়ে ট্রোল শুরু হয়। যদিও তারপর সৌরভও পথে নেমে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু শ্রদ্ধার পাত্র ‘দাদা’র থেকে ওই শব্দ যেন কেউ মেনেই নিতে পারেননি এখনও। তাই সৌরভকে ক্ষমা করতে পারেনি মানুষজন।
সৌরভকে ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থেকে সরানোর দাবি
গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। অনেকেই তাঁর উদ্দেশ্যে অনেক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন। আর এবার সৌরভকে ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থেকে সরানোর দাবি উঠলো সামাজিক মাধ্যমে। সম্প্রতি, বেশ কিছু ফেসবুক পোস্ট চোখে পড়ছে। এইসব ফেসবুক পোস্টে নেটিজেনরা সরাসরি তাঁকে ত্রিপুরা রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরানোর দাবি জানাচ্ছেন। কারও মতে, এমন ব্যক্তিত্বের মানুষকে এমন সুশোভিত পদে মানায় না। মোটকথা, ভক্তদের ভালোবাসা এখন সৌরভের প্রতি ক্ষোভে পরিণত হয়ে গিয়েছে। যার ফলস্বরূপ এই দাবি উঠতে শুরু করেছে।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন সৌরভ
সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌরভের উপর মানুষজনের ক্ষোভ তৈরি হওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন। সৌরভ বলেন যে ১৪ ই আগস্ট মাঝরাতে তাঁদের বেরোনোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তারপরেও তিনি কেন বেরোতে পারেননি, তার কারণ হিসেবে সৌরভ বলেন, “সে দিন আমরা ঠিক করেছিলাম পথে নামব। কিন্তু সানার হঠাৎ ডিহাইড্রেশন হয়। বমি করতে শুরু করে। তাই আমাদের আর নামা হয়নি।” যদিও প্রতিবাদে গত শনিবার সৌরভ পথে নামেন। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই ঘটনা ভয়ঙ্কর। দোষীদের এমন শাস্তি হোক, যাতে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে। সিবিআই তদন্ত করছে। আশা করব দোষী চিহ্নিত হবে।”