সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার খেসারত, সঞ্জীব খান্নাকে ছাড়তে হল সাধের অভ্যাস

Published on:

chief justice sanjiv khanna

প্রীতি পোদ্দার: অবশেষে গতকাল দীর্ঘ ৮ বছরের কর্মজীবনের অবসান ঘটল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে চন্দ্রচূড়ের কর্মজীবন শেষ হচ্ছে আগামী ১০ নভেম্বর। কিন্তু যেহেতু ৯ ও ১০ নভেম্বর শনি ও রবিবার পড়ছে, তাই গতকালই ছিল তাঁর শেষ কর্মদিন। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেও ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন সেই ২০১৬ সাল থেকে। একাধিক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলেন তিনি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রায় হল গোপনীয়তার অধিকার, অযোধ্যা মামলা, শবরীমালায় মহিলা প্রবেশের অনুমতি প্রভৃতি। আর এবার দেশের প্রধান বিচারপতির পদের দায়িত্ব নিতে চলেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।

নয়া প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হলে সঞ্জীব খান্না | Sanjiv Khanna Judge of the Supreme Court of India |

WhatsApp Community Join Now

জানা গিয়েছে, দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির তালিকায় ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হতে চলেছেন সঞ্জীব খান্না। আগামী ১১ নভেম্বর, সোমবার তিনি শপথ নিতে চলেছেন। ১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসাবে উঠে এসেছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম। তিনি তিস হাজারি কমপ্লেক্সের জেলা আদালতে প্র্যাকটিস করতেন। পরে তিনি দিল্লির হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনালে প্র্যাকটিস করেন। দিল্লি হাইকোর্টে অ্যামিকাস কুরি কেসে তিনি অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটার হিসাবে কাজ করেছিলেন। অবশেষে তিনি এবার প্রধান বিচারপতির জায়গায় বসতে চলেছেন। তবে তাঁর এই পদোন্নতির মধ্যে আবার বেশ কিছু অভ্যাসও তাঁকে পরিবর্তন করতে হতে চলেছে।

অভ্যাসে বড় পরিবর্তন প্রধান বিচারপতির

আসলে প্রতিদিন সকালে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না লোধি গার্ডেন এলাকায় এবং তার বাড়ির আশেপাশে কয়েক কিলোমিটার প্রাতঃভ্রমণ করেন। এটা ছিল তাঁর নিত্যকার রুটিন। যদিও নিরাপত্তা রক্ষীরা সঙ্গে থাকার জোর করলেও উল্টে তিনি নিরাপত্তা আধিকারিকদের বলেন, যেহেতু সেই অর্থে সংবাদমাধ্যমের প্রচারে আসেন না তিনি, তাই তাঁকে কেউ চিনতে পারবে না। কিন্তু এবার তাঁর এই নিত্যকার রুটিনটি পরিবর্তন হতে চলেছে। প্রধান বিচারপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা তাঁকে আর একা একা প্রাতঃভ্রমণে যেতে দিতে নারাজ।

এদিকে নিরাপত্তা রক্ষীবিহীন মর্নিং ওয়াক করতে বরাবরই ভালোবাসেন তিনি। কিন্তু নিজের এই মর্নিং ওয়াকের অভ্যাস বদলাতে হবে ভেবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এভাবে রক্ষী বেষ্টিত হয়ে থাকতে তিনি একদমই অভ্যস্ত নন। তাই তিনি এবার সেই মর্নিং ওয়াকই আর করবেন না বলে ঠিক করেছেন।

সঙ্গে থাকুন ➥