শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: রেল স্টেশনে এসে পৌঁছাল নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ঝাঁ চকচকে ট্রেন দেখার জন্য প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১-এ ছুটে আসছিলেন অনেকে। কেউ কেউ তুললেন স্লোগান। জম্মু রেল স্টেশন মুখরিত হল ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে।
রাজ্যে এসে পৌঁছাল নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিষেবা। নতুন ট্রেন পাওয়ার আশায় দিন গুনছিলেন জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তাঁদের সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে। প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়িয়েছে ট্রেন। জম্মু রেল স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়েছে। এখনই কামরায় উঠতে পারবেন না কোনো ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করবেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নতুন রুটের। উপত্যকায় নতুন এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে কাটরা থেকে কাশ্মীরের মধ্যে।
উপত্যকায় এই ট্রেন চালানো সরকারের জন্য কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জিং ছিল। এক, আবহাওয়া; দুই, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চাপানউতোর। এই দুই চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে জম্মু কাশ্মীরেও এবার ছোটার জন্য প্রস্তুত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। স্বভাবতই খুশি সেখানকার স্থানীয় মানুষজন।
ট্রেনে থাকবে আরও উন্নত ফিচার
উপত্যকায় বন্দে ভারতে বিশেষ কিছু ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। অত্যধিক ঠান্ডার কারণে এখানে জল জমে বরফ হয়ে যায়। ট্রেনে যে জল থাকে, সেই জলও জমে বরফ হয়ে যেতে পারে। তাই জল যাতে কোনোভাবেই জমে না যায় সে জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ হিটিং সিস্টেম। চালকের সামনের কাঁচেও রয়েছে হিটিং ব্যবস্থা। এর ফলে ট্রেনের সামনের কাঁচের ওপরেও বরফ জমবে না। এছাড়া অটোমেটিক দরজা, শীততাপনিয়ন্ত্রিত কামরা, চার্জিং পয়েন্ট ইত্যাদি ফিচার তো থাকছেই।
আরও পড়ুনঃ গড়িয়া থেকে স্যাট করে চলে যাবেন এয়ারপোর্ট, নোয়াপাড়া থেকে ট্রায়াল সম্পন্ন করল মেট্রো
“কাশ্মীরে এই বিশেষ ট্রেনের আগমনে আমরা আনন্দিত। এই ট্রেনে যাতায়াত করা আমাদের স্বপ্ন”, তুষারপাত প্রত্যক্ষ করতে পরিবারের সঙ্গে কাশ্মীর সফরে আসা পুনের বাসিন্দা আদিক কদম বলেছেন, “এখন কাশ্মীর ভারতের অপর প্রান্ত কন্যাকুমারীর সঙ্গে ট্রেনের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত। এই ট্রেন সংযোগের কারণে কাশ্মীর এখন আমাদের খুব কাছাকাছি বলে মনে হয়”।