‘নজর ঘোরাতেই প্রতিবাদ’, চোখে জল নিয়ে মমতার পদত্যাগের দাবি নির্ভয়ার মায়ের

Published on:

নয়া দিল্লিঃ ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২। দেশের রাজধানী দিল্লিতে ঘটে নৃশংসতম গণধর্ষণের ঘটনা। ২২ বছর বয়সী এক ট্রেনি-ফিজিওথেরাপিস্ট এই নিকৃষ্টতম অপরাধের শিকার হয়েছিলেন এক চলন্ত বাসে। সেই ঘটনায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে সরব হয়েছিল গোটা দেশ। আজ, ১২ বছর পর সেই একই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে বাংলা। নির্ভয়ার পর এবার একইরকমের নৃশংসতার শিকার হলেন তিলোত্তমা। কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসককে হাসপাতালের সেমিনার হলে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। তারপর থেকেই তাঁর জন্য চার চেয়ে পথে নেমেছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন চলছে আন্দোলন, মিছিল, ধর্ণা।

এখনো পর্যন্ত পুলিশের জালে এসেছে সঞ্জয় রায় নামের এক অভিযুক্ত। কিন্তু, নির্যাতিতার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, এই অপরাধ একজনের নয়। তাহলে বাকি অপরাধীরা কোথায়? খুলে আম ঘুরছে তাঁরা? কবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে? এই প্রশ্নে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন, ধর্মঘট। আর এবার তিলোত্তমার বিচার চেয়ে মুখ খুললেন দিল্লির নির্ভয়ার মা। সম্প্রতি, এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব নির্ভয়ার মা

সম্প্রতি, সংবাদসংস্থা পিটিআই’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্ভয়ার মা আশা দেবী বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের এই ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁর কথায়, “আরজি কর ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করছেন। উনি নিজে একজন মহিলা। ওঁর উচিত ছিল রাজ্যের প্রধান হিসাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার।” আর এই কারণেই আশা দেবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন উনি। তাই ওঁর এখন ইস্তফা দেওয়া উচিত।”

দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব আশা দেবী

এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর আমি আশা দেবীর চোখ ভিজে আসছিল। কারণ, তিনিও তো একটা সময়ে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি পার করে এসেছেন। তাই এমন ঘটনা বন্ধ করার জন্য উপায় বলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথামতো, দর্শকদের কঠোর শাস্তি না দেওয়া হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আশা দেবী আরো বলেন, “কলকাতার মেডিক্যাল কলেজেই যদি মেয়েরা সুরক্ষিত না থাকে এবং তাদের সঙ্গে এমন বর্বরোচিত অপরাধ হয়, তবে দেশে মহিলাদের সুরক্ষার অবস্থা কী, তা বুঝতেই পারছেন।”

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X