শ্বেতা মিত্র, নয়া দিল্লিঃ ধীরে ধীরে ভারত ও চিন নিজেদের সম্পর্ককে উন্নত করার চেষ্টা করছে। যে কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় সমঝোতাপূর্ণ চুক্তি অবধি সেরে ফেলেছে দুই দেশ। যদিও চিনকে কোনওভাবেই হালকা ভাবে নিতে প্রস্তুত নয় ভারত। ফলে চিনের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে ভারতের তরফে এবার এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যার জেরে চমকে গিয়েছে ড্রাগনের দেশও। প্রকৃত সীমান্ত রেখায় এবার এমন একটি টানেল প্রস্তুত করছে ভারত যার জেরে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে চিনের। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
LAC- এ টানেল তৈরী করছে ভারত!
আসলে কেন্দ্রের মোদী সরকার হিমালয়ের শৃঙ্গে এমন একটি ‘অদৃশ্য দুর্গ’ তৈরি করতে চলেছে, যেখান থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেড়িয়ে চিন কিছু করতে চাইলে সহজে নজর রাখা যায়। বস্তুত, বেজিংয়ে বসে থাকা পিএলএ’র মিলিটারি জেনারেল এবং তাদের মেন্টর শি জিনপিংকে স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। ডোকলামের মতো চিন্তা করলে ভারত যে কোনোভাবেই হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত।
কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে লাদাখের কেলা পাস দিয়ে ৭-৮ কিলোমিটার দীর্ঘ টুইন টিউব টানেল তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮ হাজার ৬০০ ফুটের কিছু বেশি উঁচু হবে এই সুড়ঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকার লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবও দিয়েছে।
বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের
মিশনের প্রাথমিক অনুমান প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কাজ শেষ হলেই লাদাখের কাছে চিনের দখলে জাড়িজুড়ি শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। এর অবশ্যই কারণ লেহ থেকে প্যাংগং লেক পর্যন্ত ভারতীয় সেনা তখন চোখের পলকে পৌঁছে যাবে প্রস্তাবিত টানেলের মাধ্যমে।
সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে কী?
রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাগজপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। মিশন নিয়ে প্রয়োজনীয় সভা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শিগগিরই এই প্রকল্পের চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হতে পারে। টানেল নির্মাণের উদ্দেশ্য হল লেহ এবং প্যাংগং লেকের মধ্যে সমস্ত মরসুমে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ বাড়ানো। এই টানেল দিয়ে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়বে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের যোগাযোগের পথও সহজ হবে। অনেকের ড্রিম ডেস্টিনেশন লাদাখ পৌঁছানোও সহজ হবে বৈকি। অবশ্যই এই ভারত সরকারের জন্য এটি একটি কৌশলগত পথ হবে।