সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাজধানীতে এনকাউন্টার (Delhi Encounter) হল নেপালের এক কুখ্যাত অপরাধীর। জানা গিয়েছে, নিহত অপরাধীর নাম ভীম বাহাদুর জোরা, যিনি নেপালের বাসিন্দা। তার নামে দেশের একাধিক রাজ্যে চুরিচামারি, ডাকাতি থেকে শুরু করে খুনের মতো অপরাধ রয়েছে। এমনকি তার মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল 50 হাজার টাকা। আজ সকালে দিল্লির আস্থাকুঞ্জ পার্কে দিল্লি ও গুরগাঁও পুলিশের যৌথ অভিযানেই তাকে নিকেশ করা হয়েছ। প্রথমে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।
কীভাবে হল এই এনকাউন্টার?
সূত্র মারফৎ খবর, মঙ্গলবার সকালে দিল্লি এবং গুরগাঁও পুলিশের যৌথ টিম আস্থাকুঞ্জ পার্কে অভিযান চালায়। বহুদিন ধরেই ওই অপরাধীর উপর নজর রাখছিল প্রশাসন। আর পুলিশ তাকে বারবার আত্মসমর্পণ করতেও সতর্ক করে। তবে আত্মসমর্পণের বদলে পুলিশের উপরেই গুলি চালায় জোরা। তার সদুত্তরেই পুলিশ পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। ফলত গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে AIIMS-র ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
#WATCH | Delhi | In a joint operation, the South East District Police and Gurugram police killed a criminal Bhim Jora in an encounter. Bhim Jora, a resident of Nepal, was wanted in several cases, including in the recent theft incident at the home of a BJP leader in Gurugram. He… pic.twitter.com/GPIQ707eRE
— ANI (@ANI) October 7, 2025
উল্লেখ্য, এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গুরগাঁওর সেক্টর 48-এ বিজেপির মেহরৌলি জেলা সভাপতি মমতা ভরদ্বাজের বাড়িতে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ওই বাড়ি থেকে প্রায় 22 লক্ষ টাকা চুরি গেছিল সেসময়। আর তদন্তে গুরগাঁও পুলিশ জানতে পেরেছিল, এই চুরির পিছনে হাত রয়েছে ওই নেপালি বাসিন্দা ভীম বাহাদুর জোরার। সবথেকে বড় ব্যাপার, তিনি ওই চুরিতে সাহায্য নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট বাড়িরই এক গৃহকর্মী যুবরাজ ঠাপারের, যিনি নেপালের বাসিন্দা।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই বানাতেন বন্ধুত্ব
পুলিশের জেরায় আরও চমক দেওয়া তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, জোরা নেপালের নাগরিকদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে তুলত। বিশেষ করে, যে সমস্ত নেপালি নাগরিক ভারতে গৃহকর্মী বা নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেই ধীরে ধীরে তাদেরকে চুরির কাজে যুক্ত করত সে। আর এভাবেই দিল্লি, গুরগাঁও থেকে শুরু করে উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে এরকম চুরি থেকে শুরু করে ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে জোরা।
আরও পড়ুনঃ দুর্যোগ কাটিয়ে চেনা ছন্দে ফিরছে পাহাড়, খুলল টাইগার হিল-সান্দাকফু, দার্জিলিংয়ের রাস্তা
পুলিশ সূত্র মারফৎ খবর, দিল্লির জংপুরা এলাকায় এক চিকিৎসককে খুন এবং লুটের ঘটনার সঙ্গেও তিনি জড়িত। তারপর বহুদিন ধরে পলাতক ছিলেন তিনি। এমনকি একাধিক রাজ্যের নেপালি নাগরিকদের সাহায্যে চুরির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। তবে সব কিছুর পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে দিল্লি ও গুরগাঁও পুলিশের যৌথ অভিযানের নিকেশ হয়েছে এই কুখ্যাত অপরাধী।