প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এখন থেকে প্রতিদিন স্কুলে প্রার্থনা সভায় নিয়ম করে পাঠ করানো হবে শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোক! ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার মিশ্রণের লক্ষ্যে নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে হরিয়ানা শিক্ষা পর্ষদ! পড়ুয়াদের মনে সঠিক আধ্যাত্মিকতার জ্ঞান সম্প্রসারণ করতেই নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে প্রশাসন। আর এই সিদ্ধান্তে তৈরি হল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
পাঠ করানো হবে শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোক!
India Today এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি সপ্তাহের পাঠ্য শ্লোক নির্বাচন করতে হবে এবং স্কুলের নোটিশ বোর্ডে প্রকৃত অর্থ ও ব্যাখ্যা সহ লিখে রাখতে হবে। প্রতিদিন একটি করে গীতাশ্লোক পাঠ করানো হবে। আর এর সঙ্গে পাঠকরার পরে সেই শ্লোকের ব্যাখ্যা এবং বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক তাৎপর্য বোঝানো হবে পড়ুয়াদের। এছাড়াও পড়ুয়াদের নিয়মিত আবৃত্তি করতে উৎসাহিত করতে হবে গীতা পড়ার জন্য। এবং সপ্তাহের শেষে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে শ্লোকটি নিয়ে আলোচনা করবে এবং তাদের মতামত ভাগ করে নেবে।
The Haryana School Education Board has directed all schools in the state to include the recitation of verses from Shrimad Bhagavad Gita in their daily prayer meetings.
In a letter sent to school principals, the Board’s Chairman stated that reading these verses will support the… pic.twitter.com/VPodmqdtGj
— IndiaToday (@IndiaToday) July 20, 2025
কেন এই উদ্যোগ?
এছাড়াও হরিয়ানার পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই গীতা পাঠ শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, নৈতিক শিক্ষার দিক থেকে এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তো কেউ আবার শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্ম নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলছে।
যদিও বা সরকারি আধিকারিকদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং দর্শন ও শিক্ষামূল্যকে সামনে রেখেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ বাড়াতেই এই প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে যাচ্ছে না নির্যাতিতা! IIM ধর্ষণকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষ জামিল পেল অভিযুক্ত
কী বলছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?
শিক্ষাব্যবস্থায় এই নয়া উদ্যোগের প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন যে, ‘ভগবদ গীতার শ্লোক শিশুদের মধ্যে কর্তব্য এবং ন্যায়সঙ্গত কর্মের বৈদিক ধারণা ধীরে ধীরে জাগিয়ে তুলবে। তাদের সঠিক পথও দেখানো হবে। এবং এই ধর্মগ্রন্থগুলি উন্নত চরিত্র গঠনে সহায়তা করবে।’
শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পবন কুমার জানান, ”গীতার জ্ঞান এবং শ্লোকপাঠ ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক, মানসিক এবং সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করবে। আর সেই ভাব ও জ্ঞান নিজের জীবনে প্রয়োগ করা হবে।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |