সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ 12 ঘন্টা ধরে যানজটে আটকে ছিল 500 জনের বেশি শিক্ষার্থী। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। মুম্বাই-আহমেদাবাদ জাতীয় মহাসড়কে (Mumbai Ahmedabad Highway) এমনই ঘটনা ঘটে গেল। আসলে এই রোডে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স, সাধারণ নাগরিকরা যানজটের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পালাঘর জেলার মুম্বাই-আহমেদাবাদ মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের কারণে প্রায় 12 ঘণ্টা ধরে 500 জনের বেশি শিক্ষার্থী এবং নিত্যযাত্রী আটকে ছিল।
ইন্ডিয়া টিভির রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হয়েছিল এই যানজট। আর বুধবার সকালে তা সমাধান হয়। বিভিন্ন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী, এমনকি পার্শ্ববর্তী থানে, মুম্বাইয়ের কিছু কলেজ পড়ুয়া বহনকারী 12টি বাস 1 কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের মধ্যে ফেঁসে গিয়েছিল। এমনকি একটি স্কুল পিকনিক থেকে ফিরে আসা বাসও শিশুদের নিয়ে বেশ কয়েক ঘন্টা আটকে থাকে।
ক্ষুধা ও ক্লান্তিতে কাঁদছিল শিক্ষার্থীরা
স্থানীয় কর্মীরা বলেছেন, ক্ষুধা এবং ক্লান্তিতে শিক্ষার্থীরা কেঁদে ফেলেছিল। মূলত দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কারণেই এমন যানজট। কর্মীর জানান, থানেতে ঘোডবন্দর হাইওয় মেরামতের কারণে ভারী যানবাহনগুলি অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। আর এর ফলেই মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটে যানজট চরম হারে বৃদ্ধি পায়।
এমনকি শিক্ষার্থী বহনকারী কিছু বাস কোনওভাবে তাদের রুট পরিবর্তন করতে পেরেছিল। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ছয়টা নাগাদ শেষ আটকে থাকা বাসটি গন্তব্যে পৌঁছয়। আর আটকে পড়া শিশুদের অভিভাবক থেকে শুরু করে স্থানীয়রাও এহেন পরিস্থিতির জন্য দুর্বল পরিকল্পনা আর কর্মকর্তাদেরকেই দায়ী করছে। এমনকি একজন অভিভাবক দাবি করেছেন, আমাদের শিশুরা ঘন্টার পর ঘন্টা অসহায় ভাবে আটকে ছিল। কোনও পুলিশও ছিল না, আমাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না।
আরও পড়ুনঃ মালদার কালিয়াচকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! নিমিষেই কোটি কোটি টাকার ক্ষতি
বলাবাহুল্য, ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য স্থানীয় এক সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এমনকি আটকে পড়া শিশুদের মধ্যে জল ও বিস্কুট বিতরণ করেন তারা। আর যানজটপূর্ণ রাস্তায় বাস চলাচলে চালকদেরকেও সহায়তা করেন।