বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফের হাটে হাড়ি ভাঙলো পাকিস্তানের (Pakistan)! চোরাকার্য করতে গিয়ে আবারও ভারতের হাতে ধরা পরল পশ্চিম দিকের প্রতিবেশী! ভারতের বাসমতি চালের জাত চুরি করে সেগুলিকে দেশে ফলিয়ে নিজেদের বলে দাবি করছে শেহবাজ শরীফের দেশ। আর সেই মিথ্যাচার ইতিমধ্যেই ধরে ফেলেছেন ভারতের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। তবে শুধু ভারত নয়, ইউরোপের একাধিক গবেষণা কেন্দ্রেও পাকিস্তানের এই কুকীর্তি ফাঁস হয়েছে।
ভারতীয় বাসমতির অবৈধ চাষ করছে পাকিস্তান
সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা বেশ কয়েকটি রিপোর্ট বলছে, ভারতের বাসমতি চালের জাত দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে পাচার করা হচ্ছে পাকিস্তানে। সূত্রের খবর, ভারত থেকে চোরাপথে আমদানি করা সেই সব বাসমতির ধান ও বাছাই চালগুলি নিজেদের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র পরীক্ষার পর ওই সমগোত্রীয় জাতের বাসমতি চাল দেশের মাটিতে ফলাচ্ছে পাকিস্তান।
ইউরোপীয় ল্যাবে পরিচালিত ডিএনএ পরীক্ষায় পাকিস্তানের এই অবৈধ কার্যক্রম ধরা পড়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটি দল ইউরোপীয় গবেষণা কেন্দ্রে পাকিস্তানে উৎপাদিত বাসমতির জাতগুলি নিয়ে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। শেষমেষ ফলাফল প্রকাশের পরই জানা যায়, পাকিস্তানে উৎপাদিত বাসমতি চালগুলি ভারত থেকে চোরাপথে রপ্তানি হওয়া বাসমতির জাত। যে খবর ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছে ডিএনএ রিপোর্ট।
পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব ভারতের
সূত্র বলছে, ভারতে উৎপাদিত বাসমতির জাত গুলি চোরাপথে দেশে নিয়ে গিয়ে গবেষণা কেন্দ্রে সেগুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখেন পাকিস্তানের বিজ্ঞানীরা। এরপরই ভারতীয় বাসমতির ওপর দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর সেগুলিকে দেশের মাটিতে চাষ করার ছাড়পত্র দেয় পাকিস্তানের কৃষি বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ।
আর এরপরই ভারত থেকে কার্যত চুরি করে বাসমতি নিয়ে গিয়ে সেগুলি দেশের মাটিতে ফলিয়ে চালের প্রজাতিটিকে নিজেদের বলে দাবি করছে পাকিস্তান। এখানেই শেষ নয়, ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া বাসমতি গুলি নিজেদের দেশে চাষ করে জিআই ট্যাগের আবেদন জানিয়েছে পাকিস্তান।
যার ঘোর বিরোধীতা করেছিল ভারত। আর এরপরই পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস করতে গবেষণাগারে পাকিস্তানের চাল গুলি নিয়ে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য।
এই জাতগুলি পাকিস্তানে অবৈধভাবে চাষ করা হয়
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট বলছে, দেশের মাটিতে অবৈধভাবে ভারতের পুরনো বসমতির জাত চাষ করার পাশাপাশি, নতুন জাত পুসা বাসমতি 1846 ও পুসা বাসমতি 1885 ধানের জাতও চাষ করছে পশ্চিম দিকের দেশ পাকিস্তান। যদিও বহু বছর আগেই পাকিস্তানের এই কুকীর্তির খবর ফাঁস হয়েছিল। যা কানে আসতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ভারতের বিভিন্ন সংস্থা।
অবশ্যই পড়ুন: স্বদেশী খালিদকে জাতীয় দলের কোচ করার দাবি তুলল ইস্টবেঙ্গল
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, পাকিস্তানের এই কুকর্মের কারণে বিশ্ব বাজারে যথেষ্ট ক্ষতি হবে ভারতের। তবে একবার যদি চূড়ান্তভাবে ডিএনএ পরীক্ষায় এই ঘটনা প্রমাণিত হয় যে, পাকিস্তান ভারত থেকে চুরি করে বাসমতির জাত গুলি নিজেদের দেশে চাষ করছে, তবে সেক্ষেত্র খুব সম্ভবত ওই সমগোত্রীয় জাতগুলি আর রপ্তানি করতে পারবে না পাকিস্তান।