বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতকে ফাঁপরে ফেলতে গিয়ে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছে পাকিস্তানের। ভূস্বর্গ কাশ্মীরের মাটিতে 26 জন নিরপরাধের মৃত্যুর যন্ত্রণা গুনে গুনে তুলে নিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিক মিসাইল হামলা চালিয়ে পশ্চিম দিকের দেশ তথা গোটা বিশ্বকে ক্ষমতা বুঝিয়েছে নয়া দিল্লি।
যদিও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একেবারে শুরুর দিকে সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি (Indus Water Treaty) বাতিল করে পাকিস্তানকে প্রথম আঘাত দিয়েছিল কেন্দ্র, সেই আঘাত সহ্য করতে না পেরে দিল্লিকে কাতর অনুরোধ জানায় ইসলামাবাদ। সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতার তরফে সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি নিয়ে গোটা বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি দিল্লিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। যেখানে পুনরায় নদীর জলপ্রবাহ অব্যাহত রাখার করুন আবেদন জানানো হয়, তবে ভারতের তরফে সেই আবেদনের স্পষ্ট জবাব পেয়েছে শেহবাজের দেশ।
সিদ্ধান্তে অটল মোদি সরকার
বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি বাতিল হওয়ায় পাকিস্তানে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এহেন আবহে, পাকিস্তানের জল সম্পদ মন্ত্রক ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে। যেখানে পশ্চিম দিকের দেশের তরফে কাতর অনুরোধ করে জানানো হয়, ভারত যেন চুক্তির ধারায় ফের ফিরে আসে এবং সিন্ধু নদী ও তার উপনদী গুলির জল আবারও পাকিস্তানে পাঠানো হয়। তবে পাক মন্ত্রকের এমন আবেদনে এক ফোঁটাও গলেনি ভারত।
মূলত পুরনো অবস্থানে অনড় থেকে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সিন্ধু জলশক্তি ছিল ভরসা ও সৌহার্দ্যের প্রতীক। তবে পাকিস্তান বিগত বছরগুলিতে সীমান্তের যে হারে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়িয়েছে তাতে সে দেশের প্রতি বিশ্বাস একেবারে তলানিতে ঠেকেছে ভারতের।ফলত, সিন্ধু জলচক্তির বিষয়টি এখন আর আলোচনার পর্যায়ে নেই, সন্ত্রাসবাদের অবসান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়েই বিষয়টি সমাধান করা যেতে পারে।
অবশ্যই পড়ুন: পাকিস্তানে অ্যাকশনের মাঝে ভারতের বিরোধিতা করেই বিরাট লাভ হল বাংলাদেশের!
সন্ত্রাস ও জল একসাথে চলতে পারে না!
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কাউকে রেয়াদ করা হবে না। সেই মতো গত 6 ও 7 মে-র মধ্যবর্তী রাতে আচমকা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ু সেনা। অপারেশন সিঁদুর নামে পাক জঙ্গিদের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বামী হারাদের সিথির সিঁদুরের মান রেখেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
আর এরপরই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, রক্ত এবং জল একসাথে বইতে পারে না। সন্ত্রাস ও বন্ধুত্ব একসাথে সম্ভব নয়। আর অর্থ পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন করে তবেই সে দেশের সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বিবেচনা করবে দিল্লি। আর সেই সিদ্ধান্তেই এবার সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি নিয়ে ফের ধাক্কা খেল পাকিস্তান।