লোকসভা ভোটের মাঝেই রীতিমতো কপাল পুড়ল হাজার হাজার হবু শিক্ষক শিক্ষিকার। এক ধাক্কায় রাজ্যের ৮৭,৭২২ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মুখে হাইকোর্টের এহেন সিদ্ধান্তের জেরে মাথায় হাত পড়ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে শুরু করে হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কী হল আচমকা? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
বড় সিদ্ধান্ত আদালতের
পাটনা হাইকোর্ট তৃতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থাৎ টিআরই-৩-এর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। পুনরায় পরীক্ষার আগে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিথি শিক্ষকদের গুরুত্ব না দেওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। টিআরই-৩-তে মোট ৮৭,৭২২টি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। প্লাস ২ স্কুলের অতিথি শিক্ষককে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি চলাকালীন আদালত জানিয়েছে, অতিথি শিক্ষক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের কাজ একই। দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। চাকরিজীবী শিক্ষকদের কাজের অভিজ্ঞতার ওপর মার্ক ওয়েটেজ দিলে অতিথি শিক্ষকদের গুরুত্ব দেওয়া যাবে না কেন?
অতিথি শিক্ষককে ওয়েটেজ দেওয়ার নির্দেশ
একই সঙ্গে প্লাস ২ স্কুলের অতিথি শিক্ষককে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে পাটনা হাইকোর্ট। প্রতি বছর ৫ নম্বর এবং ৫ বছরের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২৫ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে যে অনগ্রসর এবং সর্বাধিক পিছিয়ে পড়া বিভাগের শিক্ষকরা গুরুত্ব পাচ্ছেন। বিপিএসসি শিক্ষক নিয়োগে প্রতি বছর ৫ নম্বরের ওয়েটেজ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা দফতরের অতিথি শিক্ষকদেরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই মর্মে অতিথি শিক্ষকরা পাটনা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত শিক্ষা দফতরের অতিথি শিক্ষককে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, টিআরই-৩-এ মোট ৫.২৫ লক্ষ প্রার্থী ফর্ম পূরণ করেছেন। গত ২০ জুন থেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছিল বিপিএসসি। তবে আদালতের রায়ে বিশ বাঁও জলে হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীর ভাগ্য। উল্লেখ্য, এর আগে পেপার ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল।